Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কাটাখালীতে কলেজ ছাত্র রুমান হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালন

॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর আন্ধারমানিক গ্রামের কলেজ ছাত্র রুমান শেখ (২০)কে হত্যার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল ২৮শে জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল কাটাখালী বাজারে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে এলাকার সহস্রাধিক নারী-পুরুষসহ নিহত রুমানের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করে।
মানববন্ধন চলাকালে গোয়ালন্দ-কাটাখালী-রাজবাড়ী সড়কে(গোয়ালন্দ-রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ) যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি করা হয়। এ সময় উত্তেজিত বেশকিছু মানুষ হত্যাকারীদের বাড়ীতে হামলা করতে উদ্যত হয়। তবে রুমানের পরিবারের সদস্যরা তাদেরকে বুঝিয়ে এর থেকে বিরত রাখে। পরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।
কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া রুমানের পরিবারের নারী সদস্যদের আহাজারিতে সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন রুমানের বাবা আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালাম মহরী, মা রিজিয়া বেগম, বোন শিল্পী আক্তার ও পাঁচুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম প্রমুখ। তারা অনতিবিলম্বে রুমান হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান।
উল্লেখ্য, নিহত রুমানের বন্ধু সুমন বেপারীর এক ভাগনি পাশের বরাট ভাকলা স্কুল এন্ড কলেজে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে। কাটাখালী এলাকার রাসেল নামের এক বখাটে বেশ কিছুদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করতো। গত ২৩শে জুন দুপুরে সুমন মুঠোফোনে রাসেলকে তার ভাগনিকে উত্যক্ত করতে নিষেধ করলে সে তাকে কাটাখালী বাজারে এসে সামনাসামনি কথা বলতে বলে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সুমন বেপারী তার ২বন্ধুকে নিয়ে কাটাখালী বাজারে গেলে রাসেল, টিপুসহ ১০/১২জন সন্ত্রাসী তাদেরকে লাঠিপেটা করে। সুমন মোবাইলে বিষয়টি বন্ধু রুমানকে জানালে কিছুক্ষণ পর সে মোটর সাইকেল নিয়ে কাটাখালী বাজারে গেলে রাসেলের নেতৃত্বে টিপুসহ অন্যান্যরা তাকেও মারপিট করে। এ সময় রুমান মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় রুমানের পিতা কালাম মহরী বাদী হয়ে পরদিন ২৪শে জুন ৬জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনকে আসামী করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি খুব শীঘ্রই তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।