Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নিরাপদে বাড়ী ফিরেছে মানুষ॥অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ কোন ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঈদযাত্রীরা নিরাপদে বাড়ী ফিরতে শুরু করেছে। ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায় তারা নির্বিঘেœ ফিরতে পারছে।
গতকাল ১৩ই জুন সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাড়ীর দীর্ঘ সারি নেই। সকালে ঈদের ঘরমুখো যাত্রীদের অবস্থা দেখতে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাট ও ফেরী ঘাট পরিদর্শন করেন রাজবাড়ীর পুুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা। এ সময় তিনি র‌্যাবের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত ফুটপাত দখলমুক্ত করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়ার জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩শত ফুট দূর থেকে বন্ধ করে দেওয় হয়েছে বাস ও মাহেন্দ্র। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বাসস্টান্ডে গিয়ে মাহেন্দ্র অথবা বাসে চড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে যাত্রীরা। তবে যাত্রীদের অভিযোগ ছিল অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার আব্দুর রহিম বলেন, দৌলতদিয়া থেকে রাজবাড়ীর ভাড়া ৩৫ টাকা হলেও এখন সেটা নেওয়া হচ্ছে ১শত টাকা। এ ক্ষেত্রে বাস মালিকদের খোঁড়া যুক্তি হচ্ছে আসার সময় খালি গাড়ী আসতে হয়, সে কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। দৌলতদিয়া বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা ছাড়া কোন যাত্রী তুলছে না বাস মালিকরা। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের ভরসা হচ্ছে মাহেন্দ্র ও ম্যাজিক গাড়ী। এসব গাড়ীর ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ বা তার থেকেও বেশী। তবে এখন পর্যন্ত লঞ্চ এবং ফেরীতে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নাই।
বিআইডব্লিটিসি’র দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরী চলাচল করছে। অচিরেই আরো একটি ফেরী বহরে যুক্ত হবে। এবার লম্বা ছুটি না থাকার কারণে নৌপথে চাপ কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি ঈদের ঘরমুখো মানুষ যাতে শান্তিতে বাড়ী পৌঁছাতে পারে। মহাসড়কে এবং বিভিন্ন সড়কে রাতে পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। লঞ্চঘাট থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চাপা এই সড়কের উপর যে ফলের দোকানগুলো ছিল সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে।
ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার সিদ্দিকা মিলি আরো বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধি রোধ করার জন্য।
উল্লেখ্য, ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের জন্য যাত্রা নির্বিঘœ করতে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরী ঘাটে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।