Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৮॥দেশে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামী ১৫ বছরে কোটি লোকের কর্মসংস্থানে ইতোমধ্যে সরকার ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে ৫৬টি সরকারী এবং ২৩টি বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ তে প্রকাশিত হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসা সহজীকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের নির্বিঘœ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ওয়ান স্টপ আইন ২০১৮ পাস হয়েছে। এরফলে বিনিয়োগকারীরা একই স্থান থেকে ৯ ধরনের সেবা পাবেন। বাংলাদেশে বর্তমানে ৮টি ইপিজেড রয়েছে। ইতোমধ্যে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৬০০ প্রতিষ্ঠানকে শিল্প স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪৬৯টি উৎপাদনরত এবং ১৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ইপিজেডসমূহে ৪,৫৬০ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে হয়েছে।
সমীক্ষায় বলা হয়, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ৮ মাসে প্রকৃত বিনিয়োগ হয়েছে ২১৯ দশমিক ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮টি ইপিজেডে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৯১৫জন বাংলাদেশী কর্মীর প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, এরমধ্যে ৬৪ শতাংশ নারী কর্মী। বর্তমান সরকার দেশের বিদ্যুৎ ঘার্টতি দূর করে উৎপাদন ক্ষমতা ১৬,০৪৬ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। গত ১৯ মার্চ ২০১৮ তে সর্বোচ্চ ১০,০৮৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে। ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সিস্টেম লস ১১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে বিনিয়োগবান্ধব জাতীয় শিল্পনীতি প্রণয়ন করেছে।
জাতীয় শিল্পনীতির খসড়ায় বলা হয়েছে ‘কোনো বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশে ১০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৮কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে অথবা কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ১৬ কোটি টাকা স্থানান্তর করলে তাকে এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’ ইতোমধ্যে ৭৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে কুয়েত, ডেনমার্ক, ভারত, চীন, জাপান, ওমান, কোরিয়ার, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, রোমানিয়া, সুইডেনসহ ৩৭টি দেশ বিনিয়োগ করছে।
সমীক্ষায় বলা হয়, সরকার ইপিজেডে শ্রমিকদের মজুরি ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে।