॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বালিয়াকান্দি উপজেলার পাইককান্দি গ্রামে ৬০বছরের বিধবাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে পরান(৩০) নামে এক যুবক। ঘটনার পর ওই মহিলাকে অসুস্থ্য অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ২রা জুন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই মহিলার মেয়ে জামাই মিরাজ শেখ বাদী হয়ে ঘটনার ৪দিন পর গত ৫ই জুন পরানের বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১) ধারায় মামলা করেছেন।
মামলা সুত্রে জানাযায়, গত ২রা জুন সেহেরী খাওয়ার পর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ওই মহিলা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বাইরে আসে। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা পরান পিছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে পাশর্^বর্তী বারেক মিয়ার মেহগনী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে পরান জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে পরান সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ওই মহিলার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তাকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে রেফার করেন। পরে ওই দিনই রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল থেকেও তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বালিয়াকান্দি ইউপির চেয়ারম্যান মোঃ নায়েব আলী শেখ জানান, ধর্ষক পরানের গ্রেপ্তারে সহযোগিতা করার জন্য এরই মধ্যে আমি গ্রামে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসেছিলাম। ধর্ষক পরান পলাতক রয়েছে। ওকে আমরা যেখানেই পাবো সেখান থেকেই ওকে ধরে থানায় সোপর্দ করবো। এ ব্যাপারে কোন আপোষ হবেনা।
থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি ) হাসিনা বেগম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ঘটনাটি শোনার পরপরই আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তিনি এখনো অসুস্থ্য রয়েছেন। গত রবিবার আমি তাকে দেখতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলাম। মামলাটি তদন্তের জন্য এস.আই কায়সার হামিদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ধর্ষকের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।