॥স্টাফ রিপোর্টার॥ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগামী বাজেটে কর্মসংস্থানই হবে বড় চ্যালেঞ্জ। বাজেটে কর্মসংস্থানসহ ৫টি খাতকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে অগ্রাধিকার দেয়ার সুপারিশও তুলে ধরা হয়েছে।
বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক ও ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইআইডি)’র প্রাক-বাজেট জরীপে এ তথ্য উঠে আসে বলে সংস্থা ২টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত এপ্রিল মাসে দেশের ৬৪ জেলায় মোট ৩হাজার ৮৪৬জন উত্তরদাতার অংশগ্রহণে এই গবেষণাকর্মটি পরিচালিত হয়। কর্মসংস্থান ছাড়া জরীপে যে আরও যে ৪টি বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে সেগুলো হচ্ছে ঃ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা, রাস্তাঘাট তৈরী ও মেরামত, কৃষি কাজে ভর্তুকি, বিগত অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও আগামী বাজেটে সাধারণ মানুষের অগ্রাধিকার চিহ্নিত করতে ব্র্যাক ও ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট(আইআইডি) যৌথভাবে এই গবেষণা পরিচালনা করে।
বিগত বছরের ব্যয় পর্যালোচনা ও আগামী বাজেটে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার আলোকে এই গবেষণায় ৩টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলো হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন চাহিদার সঙ্গে সামাজিক ক্ষেত্রের বাজেট বরাদ্দ সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। এসডিজি অর্থায়নের জন্য সরকারের নির্ধারিত ৫টি উৎস থেকে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ও সেটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনা থাকা জরুরী। বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারী খাতকে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)’র আওতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সরকারী অর্থ ও অন্যান্য সম্পদের যথাযথ ব্যবহার, অর্থায়নের স্বচ্ছতা আনয়ন এবং উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনী বছরের বাজেটে রাজস্ব আয় কমে গিয়ে টাকার প্রবাহ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে বাজেট বিষয়ক এই গবেষণা প্রতিবেদনে আশংকা করা হয়েছে।
গত কয়েক বছরের বাজেট ও বাজেট ব্যয়ের প্রবণতা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী অর্থবছর ২০১৮-২০১৯-এর বাজেট হবে নির্বাচনী বাজেট। এই বাজেটে রাজস্বপ্রাপ্তি কম হতে পারে বলে এবং যেহেতু প্রথম ছয় মাসে সরকারের খরচ বৃদ্ধি পাবে সেহেতু অভ্যন্তরীণ ঋণ যেমন ব্যাংক ঋণগ্রহণ বেড়ে যেতে পারে। এতে করে দেশের সার্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।