Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিভাগের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের মহেশখালীতে নির্মাণাধীন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল পরিদর্শন

কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মাণাধীন ৫০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতা সম্পন্ন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল ২৯শে এপ্রিল কাতার থেকে আগত জাহাজ ‘এক্সিলেন্স’ পরিদর্শন করেন।
প্রতিনিধি দলটি নৌ বাহিনী জাহাজ ‘আবু বকর’ যোগে কক্সবাজারের মহেশখালীতে গমন করেন এবং ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি। এ সময় প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন কমান্ডার বিএন ফ্লিট রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক,এনইউপি, এনডিসি,এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সাংবাদিকদের দেশে গ্যাস সঙ্কট নিরসনে এলএনজি আমদানীর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। এই এক্সিলেন্স জাহাজটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল হিসেবে কাজ করবে এবং এখান থেকে ৯১ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে সারা দেশে গ্যাস সরবরাহ করবে। এই ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের ফলে, বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশে গ্যাস তথা অপরিহার্য জ্বালানী ভিত্তিক বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপন, উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের পথ সুগম হবে এবং বহুমুখী অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। ব্লু-ইকোনমি কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সার্বক্ষণিক বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদান করে আসছে।
উল্লেখ্য, কাতার থেকে পেট্রোবাংলা কর্তৃক আমদানী করা এলএনজি’র প্রথম চালান নিয়ে বেলজিয়ামের পতাকাবাহী সর্ববৃহৎ জাহাজ ‘এক্সিলেন্স’ গত ২৪শে এপ্রিল মাতারবাড়ী এলএনজি টার্মিনাল থেকে ৩কিঃ মিঃ দূরে নোঙ্গর করে। সর্ববৃহৎ এলএনজিবাহী এ জাহাজ বাংলাদেশ এলএনজি যুগে প্রবেশের ক্ষেত্রে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক -আইএসপিআর।