Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সবার কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি অন্যাদের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আইনি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বার কাউন্সিল, বার এসোসিয়েশনসহ বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী আজ ২৮শে এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে এ প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।
তিনি বলেন, গতমাসেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে চাই। এজন্য সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই এদেশে আইনের শাসনকে সমুন্নত রেখেছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন ও নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে দেশের কোনো নাগরিক যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’ পাস করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের আওতায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সুপ্রিম কোর্ট, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস¦ জনগণকে বিনা খরচে সরকারি আইন সহায়তা ও নিষ্পত্তি করছে। যা আদালতসমূহে মামলাজট হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সকল নাগরিকের জন্য মৌলিক মানবাধিকার; রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য এবং বাকস্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করাই ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে জাতিকে মহান সংবিধান উপহার দেন। সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমানাধিকার নিশ্চিত করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার পর দেশে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। ‘৭৫ পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যা, দমন, নির্যাতন ও নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করে। সুবিচারের পথ রুদ্ধ হয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।