Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

অপরাধ বাড়লের মামলা হচ্ছে না॥ এডঃ রফিকুছ সালেহীনের বাসভবনে দুর্ধর্ষ চুরি

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডঃ সৈয়দ রফিকুছ সালেহীনের সজ্জনকান্দাস্থ বাসভবনে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গৃহকর্তার ছেলে সৈয়দ মাহমুদ তাশফিন সালেহীনের দায়েরকৃত অভিযোগ থানায় মামলার পরিবর্তে জিডি হিসেবে(রাজবাড়ী থানার জিডি নং-১৪৩৪, তাং-২৪/০৪/২০১৮ইং) এন্ট্রি করা হয়েছে।
জানাগেছে, চিকিৎসার জন্য প্রবীণ আইনজীবী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ রফিকুছ সালেহীনের পরিবারের সকলে গত ১মাস ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় গত ২২শে এপ্রিলের পূর্বে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা বাড়ীর বিল্ডিংয়ের বারান্দার একটি কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে আইপিএস-এর ব্যাটারী, স্টীলের আলমারী ভেঙ্গে মূল্যবান কাগজপত্র ও কাপড়-চোপড়, রান্না ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে গ্যাসের সিলিন্ডার, হাড়ি-পাতিল, টিউবওয়েল, জানালার জন্য প্রস্তুত করে রাখা ২টি গ্রীলসহ আনুমানিক ৯৩ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়। গত ২২শে এপ্রিল সৈয়দ মাহমুদ তাশফিন সালেহীন ঢাকা থেকে বাড়ীতে এলে ঘটনাটি তার দৃষ্টিগোচর হয়। পরদিন ২৩শে এপ্রিল রাজবাড়ী থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও সিঁদেল চুরির কায়দায় সংঘঠিত এ চুরির ঘটনা থানায় এফআইআর হিসাবে রেকর্ড করেনি।
উল্লেখ্য, এডঃ সৈয়দ রফিকুছ সালেহীনের বাসভবনটি রাজবাড়ী থানার সন্নিকটে অবস্থিত। গত ৬ই এপ্রিল দিবাগত রাতে থানার ৫শ গজের মধ্যে অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার আব্দুস সালামের বাড়ীতেও একই ভাবে দুর্ঘর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। তিনতলা ওই বাড়ীর নীচতলার গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে চোরেরা ৩টি মোটর সাইকেল নিয়ে যায়। ওই ঘটনায়ও থানায় চুরি মামলার পরিবর্তে জিডি এন্ট্রি করা হয়।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থানা এলাকার কোথাও কোন ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হলে যদি বাদী না পাওয়া যায় তাহলে পুলিশই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে। এক্ষেত্রে থানায় এজাহার না হওয়া বা ক্ষতিগ্রস্তদের কেউ থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে তাকে দিয়ে “চুরির ঘটনায় মামলা করবো না” মর্মে উক্তি লিখিয়ে থানায় জিডি এন্ট্রি করা প্রচলিত পুলিশিং কার্যক্রমের পরিপন্থী।
রাজবাড়ী থানার সন্নিকটে এ ধরনের ২টি দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও তা মামলা হিসাবে রেকর্ড না করে জিডি হিসেবে এন্ট্রি করা অপরাধকে ধামাচাপা দেওয়ায় ফলে থানা এলাকায় চুরি বা সিঁদেল চুরিরমত অপরাধ বেড়েই চলেছে।
এলাকাবাসী অপরাধ দমনে থানায় অপরাধের ধরন অনুযায়ী মামলা রেকর্ড করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তেক্ষেপ কামনা করেছেন।