Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ন্যাশনাল নিউট্রেশন সার্ভিস (এনএসএস)-এর সহযোগিতায় ও রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গতকাল ২৩শে এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও ব্যবহারের সরঞ্জামাদী(বিপনন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ ও এর বিধিমালা ২০১৭ বিষয়ে অবহিতকরণ সভা সিভিল সার্জন অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী। সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্সের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোঃ আজম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমীন করিমী, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মজিনুর রহমান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এস.এম.এ হান্নান।
এ সময় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নূরে সফুরা ফেরদৌস, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোঃ মোক্তার আলী মল্লিক, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক, বিভিন্ন সরকারী দপ্তর ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাগণ, এনজিও প্রতিনিধিগণ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম ম্যানেজার আকরাম হোসেন। সভা সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোকরেমা মাঞ্জুরা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, আজকে এমন একটি বিষয়ে অবহিতকরণ সভা হচ্ছে যা আমাদের সামাজিক জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশুদের মেধাবী করার লক্ষ্যে মাতৃদুগ্ধের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে মাতৃদুগ্ধ আইন প্রণয়ন করে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই আইনের খুঁটিনাটিসহ বিস্তারিত বিধিমালা প্রণয়ন করে। যার আওতায় মাতৃদুগ্ধ বিধিমালা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার লক্ষ্যে এই অবহিতকরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সকলেই জানি মাতৃদুগ্ধের বিকল্প কিছু নেই। একটি শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম। বাজারে যেসব দুধকে মাতৃদুগ্ধের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন প্রচারণার আশ্রয় নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে সেসব থেকে আমাদেরকে দূরে থাকতে হবে। আর এর জন্য দেশের তৃণমূল পর্যায়ে জনসাধারণকে ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সচেতন করতে হবে। আমি আশা করবো আজকে এই অবহিতকরণ সভায় যারা উপস্থিত বিশেষ করে শিক্ষা বিভাগ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণসহ সকলে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের মধ্যে মাতৃদুগ্ধের বিকল্প কিছু হতে পারে না এই বিষয়টি ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সকলকে সচেতন করে তুলবেন। যাতে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মেধাবী করে গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য যে, অবহিতকরণ সভায় ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশু খাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও ব্যবহারের সরঞ্জামাদী(বিপনন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ ও এর বিধিমালা ২০১৭ বিষয়ে মাতৃদুগ্ধের বিকল্প, শিশু খাদ্যের বিকল্প, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের যা যা করা নিষেধ, আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে করণীয় বিষয়সমূহ, শিশুর জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করণের লক্ষ্যে একান্তভাবে অপরিহার্য বিবেচিত বিষয়সমূহ, কোম্পানী কর্তৃক আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি বিধি, স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা আইন লঙ্ঘন করলে দন্ড বা শাস্তি এসব সম্পর্কিত আইনের বিভিন্ন ধারা ও উপধারা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।এছাও সাম্প্রতিককালে বিএমএস আইন ২০১৩ কিভাবে বিকল্প দুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো লঙ্ঘন করছে তার কিছু নমুনা অবহিতকরণ সভায় তুলে ধরাসহ এদের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।