সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন থেকে যে আয় করে তার ওপর কর ও ট্যাক্স যোগ করার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
গতকাল ৯ই এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ফেসবুক নিয়ে কথা হয়েছে। তারা যা আয় করে আমরা তার ওপর ট্যাক্স ধরবো। এটি করা সহজ হবে। এই বাজেটেই তাদের করের আওতায় আনা হবে। দুনিয়ার সব জায়গাতে তারা কর দিচ্ছে, শুধু আমাদের দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে কর্পোরেট কর হার আছে ৪৫ শতাংশ, ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ, ৩৭ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশ যা অনেক বেশি। আমার চেষ্টা থাকবে এসব বাদ দিয়ে দুটি রেট করে দেওয়ার। সেটা হবে আর্দশিক। তারপর আমি নিশ্চিত না কারণ, মিনি কেবিনেটে যখন আলোচনা করি তখন এটিতে খুব আপত্তি হয়।
মুহিত বলেন, নিউজ প্রিন্ট আমদানি করতে সংবাদপত্রের মালিকরা এখন ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১২ শতাংশ ভ্যাট এবং ৫ শতাংশ এআইটি দেয়। এটি কমাবো। ভ্যাট ৫ শতাংশ এবং বাকি দুটো সমন্বয় করে দেবো। প্রকৃত হার বলিনাই। কারণ ভ্যাটের মাল্টিপল রেট আছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাট একটি সমস্যা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট মেইনটেইন করবো। বাট উই শুড কালেক্টেড ফ্রম ওনারশিপ দ্য ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের কাছ থেকে কিভাবে কি করবে জানিনা, আমরা তাদের কাছ থেকে আদায় করবো।
ভারতীয় চ্যানেল আর বিনামূল্যে পাওয়া যাবেনা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল প্রচারের জন্য যে পরিমাণ চার্জ দেওয়া হয়, ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে প্রচারের জন্য সমপরিমাণ চার্জ দিতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় রাজি হন আর না হন আমি এটি সমান করবোই। এ বিষয়ে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে বলেছি।
মুহিত বলেন, কেবল ডিজিটাইজেশনে একটি সময় বেধে দেওয়া হবে। সেটা খুব বেশি হবে না। গতবার প্রাক বাজেট আলোচনায় কেবল ডিজিটাইজেশনে আমি অনুরোধ করেছিলাম। এবার তা না করে নির্দেশ দেবো যে, এই সময়ের মধ্যে ঢাকার মধ্যে করতে হবে। না করলে তারা সেবা পাবে না। পরবর্তীতে জেলায় আরেকটি এবং উপজেলায় আরেকটি সময় দেবো।
আলোচনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, সমকালের প্রকাশক একে আজাদ, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, একাত্তর টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল বাবু, বাংলাভিশনের নিউজ অ্যাডভাইজার আবদুল হাই সিদ্দিক ও মাছরাঙা টিভির মোহাম্মদ তৌহিদ। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অর্থসচিব মুসলিম চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।