॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গতকাল ৭ই এপ্রিল বিকালে পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশনন্স এন্ড ইন্টেলিজেন্স) মোঃ আসাদুজ্জামান-বিপিএম বার।
পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন খান, হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পুলিশ সুপারের স্বামী সৈয়দ সেলিম সাজ্জাদ এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই’র রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ জিল্লুর রহমান, জেল সুপার মোঃ আনোয়ারুল করিম, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন, জেলা বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চু ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আব্দুল জলিলসহ অন্যান্য অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম-পিপিএম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মোঃ আছাদুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম এবং বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জগণসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার বলেন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার দিনটি যে কোন পুলিশ সদস্যের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও আকাঙ্খিত একটি দিন। এই দিনটির জন্য প্রত্যেক পুলিশ সদস্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। কারণ সারা বছরের শত কাজের মাঝে সে এই দিনটিতে তার পরিবারের সদস্যসহ সহকর্মীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারে। আজকে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের এই আয়োজনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছুই ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খল। এমন সুন্দর আয়োজনের জন্য আমি পুলিশ সুপারসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আইন-শৃঙ্খলা, সন্ত্রাস, মাদকসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বলেন, জঙ্গীবাদ দমনেও বাংলাদেশের পুলিশ বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার হওয়ায় রাজবাড়ী জেলা পুলিশ সদস্যদের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তিনি পুলিশ সদস্যদেরকে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে জনগণের সহায়তা নিয়ে অপরাধ দমনের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিগণ অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার তাদেরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর প্রধান অতিথি বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে ক্রীড়া মশাল প্রজ্জ্বালন ও সমাবেশের মার্চপাস্ট অনুষ্ঠিত হয়। মার্চপাস্টের অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাকিব খান। মার্চপাস্ট শেষে জেলা পুলিশের সদস্যগণ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহণে বেলুন ফুটানো প্রতিযোগিতায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী প্রথম স্থান, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম-সেবা ২য় স্থান ও রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সম্পাদক ও দৈনিক মাতৃকণ্ঠের সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন ৩য় স্থান অধিকার করেন।
এছাড়াও যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্টে দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি হেলাল মাহমুদ বাংলা সিনেমার বিভিন্ন নায়কের অভিনয় করে পুরস্কৃত হন। ক্রীড়া প্রতিয়োগিতা শেষ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।