॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা শহরের দরগাতলা বাজারে গতকাল ১৮ই মার্চ সকাল ১১টার দিকে মানিক মেম্বারের পাটের গুদামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডে প্রায় আড়াইশত মন পাট ভস্মিভূত হয়েছে। সেই সাথে ২টি টিনশেড গুদামঘর পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার শ্রী পরিতোষ কুমার ভৌমিকের তথ্যমতে মানিক মেম্বারের পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডে প্রায় আড়াইশত মন পাট ভস্মিভূত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লাখ টাকা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের অগ্নিনির্বাপনের ফলে বাজারের প্রায় ৫০ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা পেয়েছে।
জানাগেছে, কালুখালী উপজেলাতে কোনো ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নেই। পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে মাত্র ১টি গাড়ী রয়েছে। এখানে জনবলও সংকট। ১টিমাত্র গাড়ী ও সীমিত জনবল নিয়ে অগ্নিকান্ডের দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে কাজ করতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তদুপরি সমসাময়িক সময়ে পৃথক স্থানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে রাজবাড়ীর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহযোগিতা নিতে হচ্ছে।
সুত্র জানায়, পাংশায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা আশংকাজনকহারে বাড়ছে। বাড়ছে প্রাণহানী ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান। গত কয়েক দিনে পাংশা ও কালুখালী উপজেলাতে ৩০টির মত অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। কোথায়ও বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে, কোথায়ও গোয়াল ঘরের মশার কয়েল, কোথায়ও ছাইপুড়ি থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। অগ্নিকান্ড কখন ঘটবে সে বিষয়টি অনুমান করার উপায় নেই। তবে সচেতন হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহলের লোকজন।
এদিকে পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে গাড়ী ও জনবল সংকট দূরীকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী উঠেছে।
পাংশা পৌরসভার মেয়র আব্দুল আল মাসুদ বিশ্বাস বলেন, গরমের সময়ে এমনিতেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পায়। পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে গাড়ী ও জনবল সংকট দূরীকরণ করা খুবই জরুরী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
পাংশার দরগাতলা বাজারে পাটের গুদামে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
