Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পাংশায় পুলিশের অভিযানে বালু ব্যবসায়ী শাফিন খান হত্যা মামলার আরো ২জন আসামী গ্রেফতার

॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউপির সেনগ্রামে গত ১১ই ফেব্রুয়ারী রাতে অভিযান চালিয়ে মাটি ও বালু ব্যবসায়ী শাফিন খান হত্যা মামলায় সামাদ মন্ডল(৩২) ও ওয়াহেদ আলী প্রামানিক(২৬) নামের আরও দুইজন সন্দিগ্ধ আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ধৃত সামাদ মন্ডল সেনগ্রামের মুরাদ আলী মন্ডল ও ওয়াহেদ আলী প্রামানিক একই গ্রামের শাজাহান প্রামানিকের ছেলে।
জানাযায়, পাংশা থানার এস.আই মোঃ শাহীন মোল্যার নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এস.আই মোঃ শাহীন মোল্যা জানান, ধৃত সামাদ মন্ডল ও ওয়াহেদ আলী প্রামানিক মাটি ও বালু ব্যবসায়ী শাফিন খান হত্যা মামলার (পাংশা থানা মামলা নং-৬, তারিখ ১৮/১২/২০১৮, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড) সন্দিগ্ধ আসামী।
এরআগে অত্র মামলার ৫জন আসামী রানা, জামাল, রুহুল মেম্বার, তুহিন ও টিপুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী রুহুল মেম্বার বিজ্ঞ আদালতে মাটি ও বালু ব্যবসায়ী শাফিন খান হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের বালু ব্যবসায়ী শাফিন খান অরফে শাফির(৪০) মৃতদেহ গত ১৭ই ডিসেম্বর দুপুরে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউপির পদ্মা নদীর বেড়িবাঁধের অদূরে আখক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পাংশা থানা পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরদিন ১৮ই ডিসেম্বর নিহতের ভাই ফরিদ হাসান খান বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬, ধারাঃ ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।
মামলায় বাদী ফরিদ হাসান খান উল্লেখ করেন, তার মেঝো ভাই শাফিন খান ওরফে শাফি দীর্ঘ ১৮বছর যাবৎ সৌদি আরবে চাকুরী করে বিগত ৪ বছর পূর্বে বাড়ীতে আসেন। কিছু দিন বেকার থাকার পর ১বছর পূর্বে সে মাটি ও বালুর ব্যবসা শুরু করে। প্রথম পর্যায়ে বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করে বিভিন্ন ইটভাটায় সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করে। পরবর্তীতে প্রায় ৬মাস যাবৎ ড্রেজারের মাধ্যমে বালুর ব্যবসা শুরু করে সে। মাটি ও বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমবাড়ীয়া বাড়ইপাড়া গ্রামের মৃত ছালাম মোল্লার ছেলে আরিফ মোল্লা, ছাত্তার মোল্লার ছেলে রাজিব মোল্লা, আবু মোল্লার ছেলে সবুজ মোল্লা, মৃত মোতালেব মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা ও ভবানীগঞ্জ গ্রামের রহিম মাষ্টারের ছেলে সুমনের সাথে শাফিন খানের বিরোধ ও মামলা চলে।
এদিকে মামলার তদন্তকর্মকর্তা এস.আই মোঃ শাহীন মোল্যা ইতোমধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে জানা গেছে।