॥আবুল হোসেন॥ কুয়াশার কারণে গত শনিবার দিবাগত রাত পৌনে বারোটা থেকে গতকাল রবিবার দুপুর বারোটার পর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে বারো ঘন্টা দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সময় নৌযান বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে ১০কিলোমিটার এলাকা আটকা পড়ে শত শত যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, গত শনিবার দিনগত সন্ধ্যার পর থেকে নদী অববাহিকায় কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সাথে চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে নৌযান চলাচলে দূর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ রাত বারোটার আগেই সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরআগে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে মোট ১৭টি গাড়ি নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া রোরো ফেরী ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। নদীতে ফেরী আটকে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে সাতটি ও পাটুরিয়া ঘাটে ছোট-বড় আটটি ফেরি নোঙ্গর করতে বাধ্য হয়। ফেরী পারাপার বন্ধ হয়ে পড়ায় দুই ঘাটে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। গাড়ির ক্রম দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ফেরী ঘাট থেকে গোয়ালন্দের জমিদার ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এবং বিপরীত পাশে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। আটকা পড়া কয়েক হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।
এদিকে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের নবনির্বচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত শেষে গত শনিবার সন্ধ্যার পর ঢাকা থেকে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। রাত সাড়ে এগারটার দিকে তিনি পাটুরিয়া ঘাট থেকে কে-টাইপ ফেরী কুমারীতে ওঠার কিছুক্ষণ পর ফেরী বন্ধ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে তিনি সারারাত নদীতেই কাটান।
গতকাল রবিবার বেলা তিনটার দিকে দেখা যায়, ফেরী ঘাট থেকে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ ছাড়িয়ে সাত কিলোমিটারের বেশি লম্বা লাইনে শত শত গাড়ি আটকে আছে। কোথাও দুই আবার কোথাও তিন বা চার সারিতে গাড়ি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে। অনেক যাত্রী বাধ্য হয়ে দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে ঘাটে যাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে মোট ১৬টি ফেরী রয়েছে। এরমধ্যে ছোট একটি ফেরী নয় মাসের বেশি সময় ধরে বিকল রয়েছে।