Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে — প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী,এমপি

॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী,এমপি বলেছেন, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে আরো এগিয়ে যাবে। কারিগরি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় চেয়েছি। তিনি সময় দিলেই এ ধরনের একটি পরিকল্পনা উপস্থাপনা করা হবে। কারণ সারাদেশ প্রায় ১০০টি উপজেলায় সরকারী ভাবে টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের মধ্যে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দি উপজেলা রয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার চৌধুরী আব্দুল হামিদ একাডেমী প্রাঙ্গনে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন বরাট জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবর্ধনা, শীতবস্ত্র ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করলে সামনের দিকে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। বক্তব্যের আগে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে বরাট জনকল্যান ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী চৌধুরী নেসারুল হকের সভাপতিত্বে সরকারী রাজেন্দ্র বিশ^ বিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সিরাজুল হকের সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বরাট জনকল্যান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ মোল্যা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, ফরিদপুরের ওজোপাডিকোর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাঃ আমজাদ হোসেন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এবিএস সাত্তার, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু নাসার উদ্দিন, খুলনা হাজী মোহসিন কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন, বরাট জনকল্যান ফাউন্ডেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন মিয়া ও সদস্য হাফিজুর রহমান বেলাল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য শেষে উপস্থিত ২০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল ও ৭৫জন নদী ভাঙ্গনের শিকার মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।