Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সমাজসেবী নাছিরুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন॥কুলখানী ১০ই জানুয়ারী

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম সরকারী ডিগ্রী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা নাছিরুল ইসলাম ফুলু মিয়ার কুলখানী আগামী ১০ই জানুয়ারী বাদ আসর গোয়ালন্দ পৌরসভার জুড়ান মোল্লার পাড়াস্থ নিজ বাসভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সমাজসেবী নাছিরুল ইসলাম ফুলু মিয়া গত ৬ই জানুয়ারী বেলা পৌনে ৩টায় ফরিদপুরের শমরিতা হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি—-রাজিউন)।
গতকাল ৭ই জানুয়ারী সকাল ১০টায় গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম সরকারী ডিগ্রী কলেজের মাঠে জানাযার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাযার নামাজের পূর্বে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম সরকারী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল, প্রাক্তন অধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুল মহিত হীরা, মরহুম নাছিরুল ইসলাম ফুলু মিয়ার ছোট ভাই উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাজিরুল ইসলাম দুলু ও মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
গোয়ালন্দ এফ.কে টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ফকীর আব্দুল কাদেরসহ কামরুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণ, উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
জুড়ান মোল্লার পাড়ার মরহুম হাজী মেহের আলী মিয়া ও ছাহেরা খাতুনের সন্তান নাছিরুল ইসলাম ফুলু মিয়ার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। ১৯৩২সালে তিনি বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার ধুপুরিয়া গ্রামের মামা বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫পুত্র, ৫কন্যা, ৬নাতি ও ৯নাতনিসহ আত্মীয়-স্বজন ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। নিজের অকাল প্রয়াত ছেলে কামরুল ইসলামের নামে তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার প্রথম কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার আরেক ছেলে আমিরুল ইসলাম লিন্টু একই কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি।
নাছিরুল ইসলাম ফুলু মিয়া গোয়ালন্দ বাজারের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতাসহ সমাজের দরিদ্র-অসহায় মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বাগান খুব পছন্দ করতেন। নিজ হাতে বিভিন্ন ধরনের গাছের বাগান তৈরী ও পরিচর্যা করতেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বলিষ্ঠ একজন মানুষ হিসেবে তিনি সুপরিচিত ছিলেন।
মরহুমের কুলখানীতে উপস্থিত থাকার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।