Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বিএনপি-জামাত সেদিন গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছিল কিন্তু আ’লীগের নেতৃত্বে মহাজোট তাদের অপচেষ্টা রুখে দিয়েছিল — রাজবাড়ী জেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও মহাজোট সরকারের ৪বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে গতকাল ৫ই জানুয়ারী বিকালে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাটি বের হয়ে রাজবাড়ী বাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে রেলগেটের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক চত্বরে পথসভায় মিলিত হয়।
পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী।নপৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ মোঃ উজির আলী শেখের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সফির পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েত আলী সোহ্রাব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডঃ শফিকুল আজম মামুন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডঃ সফিকুল হোসেন সফিক, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিঃ আমজাদ হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মোঃ অহিদুজ্জামান অহিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম পিন্টু, জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল হোসেন সিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী বলেন, ২০১৪ সালের এই দিনে (৫ই জানুয়ারী) বিএনপি-জামাত জোটের প্রবল বাঁধা উপেক্ষা করে জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি-জামাত সেদিন গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছিল কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সেই অপচেষ্টা রুখে দিয়েছিল। সে জন্যই দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। একই সঙ্গে বর্তমান মহাজোট সরকারের ৪বছর পূর্তি হলো। বিএনপি-জামাত জোট শুরু থেকেই সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহন ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ পুড়িয়ে হত্যাসহ নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালিয়ে সরকারের পতন ঘটানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে সক্ষম হয়। এই সরকারের সফলতা ও অর্জন বলে শেষ করা যাবে না। দেশ আজ বিশ্বের বুকে মর্যাদাশীল একটি রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য হচ্ছে। চলমান অগ্রগতি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বহাল থাকলে শেখ হাসিনার ঘোষিত ভিশন অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এ জন্য আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সরকারের যাবতীয় সফলতা ও অর্জন যথাযথভাবে জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে হবে।
এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী তার বক্তব্যে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বিএনপিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তাতে সাড়া না দিয়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নেয়। যার জন্য তাদের আজকের এই করুণ দশা। আগামী নির্বাচনে না আসলে তাদের অস্তিত্বই থাকবে না। এ জন্য যে যাই বলুক না কেন নিঃশর্তভাবেই তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিষয়টি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রফেসর ফকরুজ্জামান মুকুট, কোষাধ্যক্ষ আজগর আলী বিশ্বাস, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সাইফুদ্দিন হাবিব, জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব আবু বক্কর খান, রাজবাড়ী পৌর যুবলীগের সভাপতি সাফায়েত আলী সাফা, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহম্মেদ হিরু, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ সুজন, ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা শেখ আলমগীর হোসেন তিতু, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল সালেহীন অপু, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, রাজবাড়ী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাওন মিয়া টাইসন, সাধারণ সম্পাদক জালাল পাঠান, ড.এম.এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের জেলা শাখার সভাপতি মোঃ রেজাউল হক ও সাধারণ সম্পাদক আমিন উদ্দিন আহম্মেদ টুকুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আনন্দ শোভাযাত্রা ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন।