গোয়ালন্দে চরমপন্থী দলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন করা হয় দিলুকে

॥আবুল হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দে চরমপন্থীদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জবাই করে হত্যা করা হয় দেলোয়ার হোসেন দিলুকে। ঘটনার ৮মাসের মধ্যে কুলুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। গত সোমবার আদালতে চাঞ্চল্যকর এ খুনের লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় গ্রেপ্তারকৃত আসামী জালাল প্রামানিক (২৪)।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মীর্জা একে আজাদ গতকাল মঙ্গলবার জানান, হত্যাকান্ডের পর থেকে পুলিশ কুলুলেস এ খুনের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে কাজ শুরু করে। তদন্তে খুনের সাথে জড়িত সন্দেহের তালিকায় নাম আসে জালালের। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন আসামী জালাল প্রামানিককে গত রবিবার দিনগত রাতে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ঢল্লাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চর বরাট গ্রামের আইয়ুব প্রামানিকের ছেলে। তাকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করে হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য। জালাল আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে জালাল জানায়, খুন হওয়া দিলু মাছ শিকারের পাশাপাশি চরমপন্থী সংগঠন লাল পতাকার রাজনীতিতে জড়িত ছিল। আর সে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দলীয় সিদ্ধান্ত হয় দিলুকে হত্যা করার। সে অনুযায়ী পদ্মা নদীতে দিলু মাছ ধরতে গেলে সেখান থেকে তারা দিলুকে তুলে নিয়ে পদ্মার নির্জন চর বাঘাবাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-পা বেঁধে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এরপর তারা দিলুর দেহ এক স্থানে ও মাথা অন্যস্থানে ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৯শে এপ্রিল গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার চর বাঘাবাড়ি এলাকা থেকে দেলোয়ার হোসেন দিলুর(৩৭) মাথা বিচ্ছিন্ন করা লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের চর দেলুন্দি গ্রামের বেলায়েত বেপারীর ছেলে।