Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

আগামী ২৩শে ডিসেম্বর রাজবাড়ী জেলার সোয়া লক্ষ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

॥সুশীল দাস॥ আগামী ২৩শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে গতকাল ১৮ই ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্সের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খান মোঃ জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মাতৃকণ্ঠের সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন প্রমুখ।
ভিটামিন ‘এ’ সম্পর্কিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন এমওসিএস ডাঃ কাজী শফিউল আজম শুভ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোকারেমা মঞ্জুরা।
এ সময় সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোঃ মঞ্জুরুল হকসহ জেলা পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার ৪০জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স তার বক্তব্যে বলেন, শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর এই প্রোগ্রামটি জাতীয় প্রোগ্রাম এবং সফল একটি প্রোগ্রাম। এ প্রোগ্রামের সফলতার কারণেই একসময় আমরা যে রাতকানা রোগী দেখতাম, এখন আর তা দেখি না। প্রোগ্রামটি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও অনাগত শিশুদের সুরক্ষার কাজে লাগবে। এককভাবে নয়, সমন্বিতভাবেই প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করতে হবে। খুবই সফল ও মহতী এই প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ যাবৎ নেতিবাচক কিছু ঘটেনি বা চোখে পড়েনি। শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাসের এই ক্যাম্পেইন অভাবজনিত অসুস্থ্যতা রোধের পাশাপাশি জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, শিশুদের জন্য ভিটামিন ‘এ’ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই ভিটামিন মানবদেহে তৈরী হয় না, খাদ্য থেকে সংগ্রহ করতে হয়। উদ্ভিজ্জ উৎসের চেয়ে প্রাণিজ উৎসের ভিটামিন ‘এ’ দ্রুত শরীরে নিঃশেষিত হয়। একবার এই ভিটামিন খাওয়ালে সাধারণত তা ৪ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শরীরে থেকে যায়। এ জন্য ৬মাস পর পর বা বছরে দু’বার করে দেশব্যাপী এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়। এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে বমি বমি ভাব বা মাথা ব্যাথা হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এবারের ক্যাম্পেইনে রাজবাড়ী জেলার প্রায় সোয়া লক্ষ শিশুকে (৬-১১ মাস বয়সী ১৪ হাজার ৪০৭ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ১লক্ষ ১২হাজার ২৬৪জন) ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে। ৬মাসের কম ও ৫বছরের বেশী বয়সী শিশুকে এবং যে সব শিশু ৪মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ পেয়েছে তাদেরকে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে না।
উল্লেখ্য, রাজবাড়ী জেলায় ৬টি স্থায়ী, ১হাজার ৯১টি অস্থায়ী, ৪২টি অতিরিক্ত ও ১৯টি ভ্রাম্যমান টিকাদান কেন্দ্রসহ সর্বমোট ১হাজার ১শত ৫৮টি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৫শত ৮২জন সরকারী টিকাদান কর্মীর সঙ্গে ১হাজার ৭শত ৩৪জন শিক্ষকসহ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১ শত ৬৮জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করবেন। টিকাদান কেন্দ্রগুলো সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।