Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে রাজবাড়ী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে রাজবাড়ী সরকারী অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ খলিলুর রহমানের অপসারণের দাবীতে গতকাল ১৭ই ডিসেম্বর বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।
বেলা ১১টার দিকে কলেজের কয়েকশত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। কলেজ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজের ক্যাম্পাসসহ রাজবাড়ী বাজার হয়ে প্রেসক্লাব এলাকা প্রদক্ষিণ করে। খবর পেয়ে থানার একদল পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখে।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীসহ ছাত্র সংগঠনগুলোর মতামত না নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রকার অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি অনুষ্ঠানের নামে ও ফরম ফিলাপ থেকে অতিরিক্ত অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের বক্তব্য হলো একসময় কলেজের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি না থাকলেও প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকার জাতীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। বর্তমান অধ্যক্ষ সেই রীতির তোয়াক্কা না করে স্বেচ্ছাচারীভাবে কলেজ ফান্ডের নিজের মনমতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছেন। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে যে, তাদের পিতামাতার কষ্টার্জিত অর্থ যা তারা কলেজের ফান্ডে প্রদান করে তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় পরীক্ষাসহ নানা অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ সব ব্যাপারে তিনি কারো কাছে কোন প্রকার জবাবদিহি করেন না। বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা সমাজ কল্যাণ বা দরিদ্র তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তার আবেদন করলেও তারা তাদের প্রাপ্য অর্থ পাচ্ছে না। অধ্যক্ষের খামখেয়ালীপনার কাছে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ খলিলুর রহমান ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে ইঙ্গিত করে বলেন, কেউ কেউ আগের মতো সুবিধা পাচ্ছে না বলে এটা করেছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন না। তার দাবী, তিনি কলেজে যোগদানের পর থেকে আগের চেয়ে শৃঙ্খলা উন্নত হয়েছে। পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশাসন ও অভিভাবকরা প্র্রশংসা করছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট ভাল হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই একসময় তিনি এখানে থাকবেন না। তবে যাওয়ার আগে দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চান।
অপরদিকে অধ্যক্ষের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ বলেন, তিনি যোগদানের পর প্রচলিত রীতি-নীতি উপেক্ষা করে নিজের একক ইচ্ছায় যা খুশি তাই করছেন। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা যা করেছে সেটা ঠিকই আছে বলে তারা মনে করেন। তারাও অধ্যক্ষের অপসারণ দাবী করেন।