Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ১৫ই ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার এবং সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোঃ আব্দুল জলিল।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ড. এ.কে.এম আজাদুর রহমান। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদেকুর রহমান, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার পালসহ দর্শকগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার পার্থ প্রতিম দাস এবং ডাঃ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা শামীমা আক্তার মুনমুন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও আমাদের স্বাধীনতা একটি অপরটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। কারণ বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার কোন কিছু চিন্তা করা যায় না। তিনি বাঙালী জাতির জন্য একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য স্বাধীনতার পূর্বে তার ২৪বছরের রাজনৈতিক জীবনের ১৪বছরই জেলে কাটিয়েছেন। মাত্র ১০বছর তিনি জেলের বাইরে ছিলেন। এ সময় তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগ্রামে নেতৃত্বের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বাঙালীদের স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে তোলেন। এরপর ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাঙালীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সকল দিক-নির্দেশনা প্রদান করে মূলত দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই ৭ই মার্চের ভাষণের সূত্র ধরে ২৬শে মার্চ ভোরে তারই লিখিত স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীন হয় দেশ। এই সময় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দী থাকলেও স্বাধীনতার পূর্বেই কিভাবে যুদ্ধ হবে তার নির্দেশনা তিনি জাতীয় চার নেতাসহ তার বিশ্বস্ত সহযোগীদের প্রদান করেছিলেন। তিনি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই তার জীবনের সকল সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের মধ্যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়ে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীর বিনিময়ে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুতরাং বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমার আমাদের স্বাধীনতা কখনোই চিন্তা করতে পারি না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আলোচনা সভার শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।