Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের চন্দনীতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে ১ব্যক্তি নিহত॥অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আব্দুল খালেক বিশ্বাস(৬০) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। সে জেলার পাংশা সদর উপজেলার ঢেকিপাড়া গ্রামের মৃত ইমান আলী বিশ্বাসের ছেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুই রাউন্ড গুলিসহ একটি পাইপ গান ও ছয়টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোঃ আবুল বাসার মিয়া জানান, গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের কালিবাড়ি এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ফলকের সামনে সড়কে গাছ ফেলে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়। এ সময় ওই সড়কে টহলরত পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছলে ডাকাতরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও তাদেরকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছুড়ে। উভয়ের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট বন্দুক যুদ্ধের পর ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি দেশীয় তৈরী পাইপ গান, চারটি ধারালো চাকু ও দুটি হাসুয়া এবং একটি গাছ কাটার কড়াত উদ্ধার করেন। তার বিরুদ্ধে পাংশাসহ অন্যান্য থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। নিহত আব্দুল খালেক বিশ্বাস ডাকাতি মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। প্রায় পাঁচ বছর আগে তিনি জেল থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
ওসি আরো জানান, খালেক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পাংশা, রাজবাড়ীসহ অন্যান্য থানায় ছয়টি ডাকাতিসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। সে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সক্রিয় সদস্য। তার পরিচয় জানার পর পাংশা উপজেলার তার পরিবারকে সংবাদ দেওয়া হয়েছে। তারা আসলেই ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ এস.এম তারেক আনাম জানান, ভোর পৌনে ৫টার দিকে সদর থানার পুলিশ সদস্যরা মৃত অবস্থায় নিহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহত ব্যক্তির পিঠে ২টি ও মাথায় ১টি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ সময় আহত ৫জন পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানার এস.আই মোঃ বদিয়ার রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে পুলিশের উপর আক্রমণ, ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পরে দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম বলেন, নিহত ব্যক্তির নাম আঃ খালেক। সে পাংশা উপজেলার ঢেকিপাড়া গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। সে পেশাদার ডাকাত। ইতিপূর্বে সে পাংশা থানার একটি ডাকাতি মামলায়(পাংশা থানার মামলা নং-১০, তাং-১৪/৭/২০০৪, ধারাঃ ৩৯৫/৩৯৭/৪১২) ৭বছর জেল খেটেছে। এছাড়াও সে রাজবাড়ী থানার দুটি ডাকাতি মামলাসহ পাংশা ও কালুখালী থানায় একাধিক ডাকাতির মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে অভিযানকালে পুলিশকে ৩৭টি রাউন্ড গুলি বর্ষণ করতে হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপ গান, ২রাউন্ড কার্তুজ, ৪টি ছোরা ও ২টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির চেষ্টায় ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ডাকাতদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।