Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

স্কুলের পাঠদানে গাফিলতি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে — রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’-এই শ্লোগানকে সামনে রেখে রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ১২ই ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ের লক্ষ্যে প্রধান শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বক্তব্য রাখেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা নুরমহল আশরাফীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদেকুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসরিন সুলতানা।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টাউন মক্তব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুন কক্স, শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল হক, ভবাণীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিজিয়া খানম, রশোড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মানিক বিশ্বাস প্রমুখ। সভায় উপস্থাপনা করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুর রশিদ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ আহম্মেদ খান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার বিউটিসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করছে। যার আওতায় বছরের প্রথমে বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু এরপরও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সব সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরও কেন শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন হচ্ছে না তার কারণ খুঁজে বের করার জন্যই আজকের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে। মূলতঃ একটি শিশুর শিক্ষা জীবনসহ তার চারিত্রিক গুণাবলীর হাতেখড়ি শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উচিত প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা। বর্তমান সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ক্লাসে শিক্ষাদানের পরিবর্তে তারা বাণিজ্যিকভাবে শিক্ষার দিকে বেশী মনোযোগী। যার কারণে কোন ক্ষেত্রে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে অভিভাবকদের যোগাযোগের অভাবেও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত করার কথা চিন্তা করে সকল শিক্ষককে শ্রেণী কক্ষে আন্তরিকভাবে পাঠদান করতে হবে। এ ছাড়াও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ঠিকমতো পাঠদান না করা বা গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে সেগুলো পর্যায়ক্রমে নিরসন করা হবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।