Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী জেলার অর্থনৈতিক শুমারি’র প্রকাশনা উন্মোচন

॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ ‘অর্থনৈতিক শুমারী অগ্রগতির দিশারী’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উদ্যোগে গতকাল ২৭শে ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কালেক্টরেটের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক শুমারি-২০১৩ প্রকল্পের জেলা রিপোর্ট প্রকাশনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে ‘ইকোনমিক কেইস রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক জিনাত আরা।
জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক(অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিনাক্ষী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মানোয়ার হোসেন মোল্লা এবং সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ রহিম বক্স। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোঃ মাহাবুবুল আলম।
ইকোনমিক কেইস রিপোর্টের বিভিন্ন দিক নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক(অতিরিক্ত দায়িত্ব) মিনাক্ষী বিশ্বাস। এ সময় জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনারগণ, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এবিএম রেজাউল হক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গণেশ মিত্র, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম শফিসহ বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জিনাত আরা বলেন, আজকের এই ইকোনমিক কেইস রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠান দীর্ঘ প্রতীক্ষিত একটি আয়োজন। যা ২০১৩ সালে প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর ডাটা তুলে ধরার জন্য এই রিপোর্ট প্রকাশে একটু সময় বেশী লেগেছে। আমার সকলেই পূর্ববর্তী সময়গুলোতে বাংলাদেশেকে একটি কৃষিনির্ভর অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে জানতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি মিশ্র অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছি। এছাড়াও আমার এসডিডি’র মাধ্যমে অর্থনৈতিক ডেভলপমেন্ট সাধন করেছি। দেশকে আরো এগিয়ে নিতে আমাদের যে কোন বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল এর বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে উন্নয়ন কখনো একক প্রচেষ্টায় করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে যদি সকলে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করা যায় তবেই সার্বিক উন্নয়নে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। সে ক্ষেত্রে দেশের সকল জেলার সাথে রাজবাড়ীও নিজের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও জেলা প্রশাসক আগামী ৯, ১০ ও ১১ই জানুয়ারী রাজবাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে সকল সরকারী অফিসের অংশগ্রহণে জেলা উন্নয়ন মেলায় এবং ২০, ২১ ও ২২শে জানুয়ারী ডিজিটাল মেলায় অংশগ্রহণের জন্য জেলাবাসীকে আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক শুমারী ২০১৩ রিপোর্টে বাংলাদেশের শুমারি, জাতীয় অর্থনীতি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত, শিল্প ও শ্রমিক সংক্রান্ত, কৃষি সংক্রান্ত, কম্পিউটার সংক্রান্ত, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সংক্রান্ত, স্টাফ ট্রেনিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও রাজবাড়ীর প্রেক্ষাপটে জেলার জনবল পূর্বের তুলনায় যে কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অগ্রগতি সাধা করছে বলে যাবতীয় সার্ভে রিপোর্টের ডাটা পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়েছে। রিপোর্টের আলোকে আরো প্রতীয়মান হয় যে, পূর্বের তুলনায় যে কোন ক্ষেত্রে জেলায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে মহিলাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে।