॥রফিকুল ইসলাম॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আসমা আক্তারের দ্বিতীয় দফায় বাল্য বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগও গতকাল ২৭শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে গেছে। সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত ওই ছাত্রীর লেখাপড়ার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার মিয়া।
জানাগেছে, রাজবাড়ীর শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আসমা আক্তারকে ২মাস পূর্বে বাল্য বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। আসমার সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রাজবাড়ী সদর থানাকে অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে বর-কনেসহ উভয়ের অভিভাবকদের থানায় নিয়ে যায়। সেখানে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার লিখিত মুচলেকা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সম্প্রতি আসমার অভিভাবকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে ফের বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।
গোপন সুত্রে বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল ২৭শে ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাঃ আব্দুর রহিম মোল্লা এবং সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রায়নগর গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়ীতে যান। সেখানে গিয়ে তারা আসমা আক্তারের অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন এবং সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে ফের লিখিত মুচলেকা নেন।
এ সময় রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার মিয়া স্ব-প্রণোদিত হয়ে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটির লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেন।
৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীর দ্বিতীয় বার বিয়ে বন্ধ
