॥আবুল হোসেন॥ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে কুয়াশার কারণে গতকাল মঙ্গলবার সকালে আড়াই ঘন্টার মতো ফেরী চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়ে যানবাহন বোঝাই সাতটি ফেরী। উভয় ঘাটে আটকে থাকতে হচ্ছে দূরপাল্লার বাসসহ নানা যানবাহনকে এবং দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন সংস্থা(বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয় জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ভোর ছয়টার আগেই নৌপথে ফেরীসহ সব নৌযান বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে দুই ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ছোট-বড় সাতটি ফেরী মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। ফেরীগুলো হলো ভাষা সৈনিক গোলাম মওলা, এনায়েতপুরী, শাহ জালাল, আমানত শাহ, শাপলা শালুক, চন্দ্র মল্লিকা ও হাসনা হেনা। ফেরীতে ৭৫টির মতো ব্যক্তিগত গাড়ি এবং প্রায় দেড় হাজার যাত্রী ছিল। কুয়াশা ও শীতে মাঝ নদীতে আটকে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সাড়ে আটটার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে নোঙ্গর করা ও নদীতে আটকে থাকা ফেরি ছাড়তে শুরু করে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায়, ফেরী ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার লম্বা ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত দুই সারি যাত্রী বাহি বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নদী পাড়ের অপেক্ষায় লাইন ধরে অপেক্ষা করছে। ক্যানাল ঘাটের পর থেকে আরো প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইনে শুধু পণ্যবাহি ট্রাক আটকে রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, রোরো ফেরীর সংখ্যা বেশি থাকলে দুর্ভোগ কমে আসতো। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে যেসব ফেরী চলাচল করছে এরমধ্যে প্রায় প্রতিদিন ২/১ করে বসে পড়ায় সমস্যা আরো বেড়ে যায়।