Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পাংশায় ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

॥শিহাবুর রহমান॥ পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে ১৩বছরের এক কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
গতকাল ২৬শে ডিসেম্বর ধর্ষিতা ওই কাজের মেয়ে বাদী হয়ে পাংশা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০(সংশোধনী/০৩) এর ৯(১) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করে।
মামলায় উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪০)কে আসামী করা হয়েছে।
মামলা সুত্রে প্রকাশ, তার বাড়ী কুষ্টিয়া জেলা শহরের থানা পাড়া এলাকায়। সে ঝিনাইদহ থানার এএসআই রুমিয়া খাতুনের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। গত ১৮ই ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে সে বাসার কাউকে কিছু না বলে কুষ্টিয়ায় বাবা-মার সাথে দেখা করতে আসে। তবে তাদেরকে বাসায় না পেয়ে সে ওই দিন বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়া কোর্ট রেলস্টেশনে আসে। এ সময় কালাম তাকে আদর করে ফুসলিয়ে কুষ্টিয়া শহরের একটি বাসায় নিয়ে যায়। পরদিন ২৪শে ডিসেম্বর সকাল ৮টায় ওই বাসা থেকে বাস যোগে কালাম তাকে পাংশায় নিয়ে এসে রেল স্টেশনে বসিয়ে রাখে। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালাম তাকে তার বাড়ীর পিছনে বাগানের মধ্যে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর কালাম তাকে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য জীবননাশের হুমকী দেয়। এ ঘটনার পর কালাম বাড়ীতে নিয়ে তাকে তার মায়ের কাছে থাকতে দেয়।
পরবর্তীতে গত ২৪শে ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে কুষ্টিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কালাম তাকে বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং পথিমধ্যে মোবাইল করে তার বন্ধুদের জানায় ওকে নিয়ে আসতেছি। এ কথা শোনার পর সে ভয়ে প্রসাব করার কথা বলে দৌড়ে পাশ্ববর্তী এক বাড়ীতে গিয়ে উঠে এবং পরদিন সকালে সে কালামের বাড়ীতে গিয়ে সবার কাছে ঘটনার বর্ণনা করে। পরবর্তীতে ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে গ্রাম পুলিশ এসে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। এরপর কলিমহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সে বাদী হয়ে কালামকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করে। পাংশা থানার মামলা নং-১৩।
পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম শাহজালাল জানান, ঘটনার পর থেকে ধর্ষক কালাম পলাতক রয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।