Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ী জেলা কারাগারে বন্দী ৮২১জন॥পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শওকত আলী গতকাল ২৪শে অক্টোবর বেলা ১১টায় জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে জেলা সুপার জেলা প্রশাসককে জানান, বর্তমানে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে ৮২১জন কারাবন্দী রয়েছে। এরমধ্যে মোবাইল কোর্টে সাজাপ্রাপ্ত ১৭৬জন মৎস্যজীবী রয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শওকত আলী কারাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখার সময় দন্ডাদেশপ্রাপ্ত কারাবন্দীদের মুক্তির পর শুদ্ধ জীবনাচরণে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ এবং মাদক অপরাধীদের উদ্দেশ্যে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি অবৈধ মাদক ব্যবসা ও মাদকাসক্তি থেকে সুন্দর জীবন-যাপনে ফিরে আসার আহবান জানান।
গত ১লা অক্টোবর হতে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষা অভিযান পরিচালনাকালে মোবাইল কোর্টে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত মৎস্যজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ না ধরার জন্য সরকারীভাবে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পদ্মা নদী থেকে ইলিশ আহরণ করায় আপনারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৪৩ দিনই মৎস্যজীবীগণ ইলিশ আহরণ করেন। মাত্র ২২দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারী নির্দেশনার আলোকে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ওই ২২দিন তালিকাভূক্ত জেলেদের জন্য ভিজিএফ চাল বরাদ্দ প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে, যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। প্রতি বছর যাতে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ সহায়তা প্রদান করা যায় তা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী জেলা কারাগার পরিদর্শনের শুরুতে কারাবন্দীদের সাথে দেখা করতে আসা দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং তাঁদের খোঁজ-খবর নেন। কারা অভ্যন্তরে প্রবেশের আগে কারারক্ষীদের সুসজ্জিত চৌকষ একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
কারাগার পরিদর্শনকালে জেল সুপার মোঃ আনোয়ারুল করিম এবং রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডাঃ সুশীল কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কারাগারের কিশোর ওয়ার্ড, রান্না ঘরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন, কারাবন্দীদের কেস হিস্ট্রি পরীক্ষা করেন এবং তাদের সার্বিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি কারাবন্দীদের খাবারের মান ও পরিমাণ যাচাইকরণসহ রন্ধনশালার সার্বিক ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। এছাড়াও তিনি কারাবন্দীদের ধর্মীয় শিক্ষা এবং নিরক্ষরদের সাক্ষরদান কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি কারাগারের পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।