Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

নারুয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর প্রত্যাহারের আবেদন করেছে দুই ছাত্রী॥তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ

॥তনু সিকদার সবুজ॥ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া লিয়াকত আলী স্মৃতি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করার পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
জানাগেছে, কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী শাহাজিয়া ও লতা গত ১৮ই অক্টোবর শিক্ষক বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ওই লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এতে তার বিরুদ্ধে ‘প্রাইভেট না পড়লে ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকীসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ’-এর অভিযোগ আনা হয়। পরে গত ২১শে অক্টোবর তারা অভিযোগটি প্রত্যাহার করে নেয়। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এই বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের কাছে অভিমত প্রকাশ করেন এবং তাদের মেয়েদেরকে দিয়ে কারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজ করিয়েছে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
ওই ছাত্রীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার পত্রে উল্লেখ করেছে, ‘বদিউজ্জমান স্যারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছি তা না বুঝে ঝোঁকের মাথায় করেছি। অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গতকাল রবিবার যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সুপার(ওএস) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন অভিযোগ প্রত্যাহার সংক্রান্ত একটি আবেদন জমা পড়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ এ.কে.এম সিরাজুল হক জানান, আমি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তা আমার জানার কথা অথবা তাদের অভিভাবকদের জানার কথা। কিন্তু আমরা কেউ কিছুই জানলাম না। বিষয়টি আমাদের কাছে ষড়যন্ত্র ও রহস্যময় বলে মনে হচ্ছে। কারণ ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ দেওয়ার ৪দিন পর তারিখ বিহীন একটি অভিযোগ আজ(রবিবার) দুপুরে কোন অভিভাবক ও অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা না এসে অভিযোগকারীদের পক্ষে কলেজের দাতা সদস্য আকিদুল ইসলাম আমার কাছে দিয়ে যান। অভিযোগটি পাওয়ার পর আমি তা যাচাইয়ের জন্য ওই দুই শিক্ষার্থীর খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারি তারা কলেজে আসেনি। এ ব্যাপারে আমি সভাপতির সাথে আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
এ বিষয়ে শিক্ষক বদিউজ্জামান বলেন, আগেও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করা হয়েছিল। তদন্তে সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এবারতো অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরাই তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এটি একটি সাজানো নাটক। আমি বিষয়টি তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা জানান, বিষয়টি আমি জানি। সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে ৩কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং আগামী ২৯শে অক্টোবর এ ব্যাপারে কলেজে কমিটির সভা আহবান করা হয়েছে।