॥পাংশা প্রতিনিধি॥ পাংশায় পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ রক্ষায় চলমান অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ১১ই অক্টোবর পৃথক অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মা নদীতে ইলিশ মাছ ধরায় মোট ১৩জন জেলের দন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত গতকাল বুধবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অভিযানে বাহাদুরপুর ইউপির সেনগ্রামের আটক কুতুব উদ্দিন নামের ১জন জেলেকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন। আটক সেনগ্রামের মজনু সরদার, একই গ্রামের মজিদ শেখ, সাহাবুদ্দিন, হাসান খাঁ এবং খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের আনিস ও ওহাব মন্ডলকে ১২দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় উদ্ধারকৃত প্রায় ২০হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং উদ্ধারকৃত ১০কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। সকালের এ অভিযানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে সহযোগিতা করেন পাংশা থানার এস.আই মেজবাহুর রহমানসহ সঙ্গীয় পুলিশ এবং উপজেলা সহকারী মৎস্য অফিসার রেজাউল করিমসহ মৎস্য অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এছাড়া গতকাল বুধবার বিকেলে ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পদ্মা নদীতে অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৬জন জেলেকে দন্ড প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে সেনগ্রামের সাগর নামের ১জন জেলেকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই গ্রামের ফারুক, বন্দের আলী, নূর ইসলাম, মকবুল প্রামানিক ও সবুজকে কয়েক দিনের মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন পাংশার এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রাশেদউজ্জামান। তার নেতৃত্বে অভিযানে প্রায় ৩০হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার ও প্রায় ৩০ কেজিমত ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত ৩০হাজার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় ও ইলিশ মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
পাংশা থানার এস.আই মেজবাহুর রহমানসহ সঙ্গীয় পুলিশ এবং উপজেলা সহকারী মৎস্য অফিসার রেজাউল করিমসহ মৎস্য অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন।