Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীর ডিসির নেতৃত্বে পদ্মা নদীতে ইলিশ রক্ষার অভিযানে ৫জন আটক॥৫০হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১টি নৌকা জব্দ

॥কাজী তানভীর মাহমুদ॥ রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শওকত আলীর নেতৃত্বে গতকাল ৭ই অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুর রহমান, জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ মজিনুর রহমান, কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলশাদ জাহান, জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ এবং মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানকালে ৫জন জেলেকে আটক করাসহ জব্দকৃত ৫০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৪০ কেজি ইলিশ ও ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
জানাগেছে, জেলা প্রশাসনের নতুন একটি কেবিন ক্রুজার স্পীড বোট, ১টি বড় ইঞ্জিন চালিত নৌকা এবং ২টি ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরিচালিত অভিযানকালে ধাওয়াপাড়া ঘাটের অদূরে একটি মাছ ধরা নৌকাকে আটকের চেষ্টাকালে জেলেদের নৌকাটি দ্রুত বেগে কেবিন ক্রুজার স্পীডবোটে সজোরে ধাক্কা দিলে কেবিন ক্রুজারের ২টি ইঞ্জিনের ১টিতে আগুন ধরে যায়। এতে স্পীডবোটের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ওই ইঞ্জিন চালিত নৌকা থেকে ৩জন জেলেকে আটক করাসহ নৌকাটি জব্দ করে মিজানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়। পরে আরেকটি নৌকা থেকে আরও ২জন জেলেকে আটক করা হয়। এছাড়াও অভিযানকালে মাছ ধরার নৌকাগুলোকে ধাওয়া করে তাড়ানো হয় এবং পদ্মা নদীতে বিভিন্ন স্থানে পেতে রাখা প্রায় ৫০হাজার মিটার জাল উদ্ধার করা হয়।
পরে গোদার বাজার ঘাটে সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আটককৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং উদ্ধার করা ইলিশ মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানা ও লিল্ল¬াহ বোর্ডিংয়ে প্রদান করা হয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলশাদ জাহান আটককৃত ৫জন জেলের প্রত্যেককে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করে জেল হাজতে পাঠান।
দন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলো ঃ রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের ধাওয়াপাড়া গ্রামের মোঃ নাসির খাঁর ছেলে লতিফ খাঁ ওরফে লস্কর(৫৫), মজিদ মোল্লার ছেলে আবুল কালাম মোল্ল¬া(৪৫) ও আসান সেখের ছেলে লুৎফর সেখ(৩৫) এবং মিজানপুর ইউনিয়নের চর বেনীনগর গ্রামের হাসেন সেখের ছেলে ইসহাক সেখ(৩৫) ও গোলাপ মোল্ল¬ার ছেলে আকবর মোল্ল¬া(১৮)।
অভিযানকালে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শওকত আলী পদ্মা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা ও জেলেদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১লা অক্টোবর হতে ২২শে অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ। এ সময়ে কেউ নদীতে মাছ ধরবেন না। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে আবার মাছ ধরতে পারবেন। এই কয়েকটা দিন সরকারী নির্দেশনা অবশ্যই সকলকে মেনে চলতে হবে।