Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

রাজবাড়ীতে চালের মূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িতদের প্রতি জেলা প্রশাসকের হুঁশিয়ারী

SAMSUNG CAMERA PICTURES

॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ চাল ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিয়ম সভায় ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করেছেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী।
গতকাল ২১শে সেপ্টেম্বর বিকেলে নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলার চাল মিল মালিক এবং চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের চাল ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিয়ম সভায় তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রেবেকা খান, নবাগত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদেক আলী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাঈম-আস-রাকিব, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মুন্সী মুজিবুর রহমান, জেলা বাজার অনুসন্ধানকারী মোঃ আফজাল হোসেন, জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন, খাদ্য পরিদর্শক নিয়াজ মাহমুদ, কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব ও মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ মোবারক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী বেনজীর আহম্মেদসহ জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী বলেন, আজ বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনাদের ডেকেছি। রাজবাড়ীসহ সারা দেশে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে আমরা মাঠে নেমেছি। দেশে কি পরিমাণ চাল উৎপাদন হয়, কি পরিমাণ চাল আমদানী হয়, কি পরিমাণ চাল খাদ্য চাহিদা মিটাতে প্রয়োজন হয় তার সব তথ্যই সরকারের কাছে রয়েছে। এই দাম বৃদ্ধির কারণ কারসাজি। রাজবাড়ীতে বন্যার সময় ২৮লক্ষ টাকা এবং ৫৫৭ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করেছি। তাহলে রাজবাড়ীতে কেন চালের দাম বৃদ্ধি পেল?
জেলা প্রশাসকের প্রশ্নের জবাবে জেলা চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, রাজবাড়ীতে বড় ধরনের কোন মজুতদার নাই, যারা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। রাজবাড়ীতে সাধারণত ক্রয় মূল্যের উপর চালের বাজার নির্ভর করে। বর্তমানে রাজবাড়ীর ব্যবসায়ীদের বেশী দামে চাল ক্রয় করতে হচ্ছে।
অন্যান্য মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানায়, সরকারের তৎপরতার কারণে চালের বাজার কমতে শুরু করেছে। ঈদের পূর্বে যে চাল চেয়ে পাওয়া যায় নাই, এখন বড় বড় মিল মালিকরা সেই চাল মোকাম থেকে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে আরো বলেন, প্রত্যেক দোকানে মূল্য তালিকা টানাতে হবে। যদি কোন কৌশলে ভোক্তাদের ঠকানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে জেলা প্রশাসন বসে থাকবে না। আপনারা এমন একটি ব্যবসার সাথে জড়িত যেটা সবাই করতে পারে না। আপনারা সরাসরি মানুষেরমুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। আশা করি বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী জেলা সদরের চাল ব্যবসায়ী দিলীপ সাহার এলসির ব্যাপারে খোঁজ-খবর প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, সরকারের নীতিমালা মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে-যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।