Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পাংশায় ৮৫টি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে

॥মোক্তার হোসেন॥ আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর পাংশা পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৮৫টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে। এ উৎসবকে ঘিরে চলছে প্রতীমা তৈরীর কাজ।
ইতোমধ্যে অধিকাংশ পূজামন্ডপে প্রতীমা তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং সে সব পূজা মন্ডপে চলছে রং ও তুলির কাজ। আর এর মধ্য দিয়ে প্রতীমা তৈরীতে ব্যস্ত সময পাড় করছেন প্রতিমা কারিগররা। এছাড়া দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট ও উৎসবমূখর করতে পূজামন্ডপে প্যান্ডেল ও সাজসজ্জার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন থানা পুলিশ। এ লক্ষ্যে গত ১৩ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় পাংশা থানায় উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন।
এ সময় সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(পাংশা সার্কেল) মোঃ ফজলুল করিম, পাংশা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত কুমার দাস (সাগর), সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট ভজ গোবিন্দ দে, সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার কুন্ডু, পাংশা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মোক্তার হোসেন, পাংশা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু শহীদ ও আনসার ভিডিপি অফিসের কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাংশা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত কুমার দাস সাগর, সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট ভজ গোবিন্দ দে ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার কুন্ডু জানান, এ বছর পাংশা পৌরসভা এলাকায় ২০টি, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন এলাকায় ৪টি, হাবাসপুর ইউনিয়ন এলাকায় ৪টি, বাবুপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় ৩টি, মাছপাড়া ইউনিয়ন এলাকায় ৮টি, কলিমহর ইউনিয়ন এলাকায় ৮টি, সরিষা ইউনিয়ন এলাকায় ১১টি, কসবামাজাইল ইউনিয়ন এলাকায় ১১টি, পাট্টা ইউনিয়ন এলাকায় ১০টি ও মৌরাট ইউনিয়ন এলাকায় ১১টি মোট ৮৫টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে। প্রত্যেকটি পূজামন্ডপে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান ছাড়াও মন্দির কমিটির উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক গঠনের কথা জানান পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
পাংশা পৌরসভার গুধিবাড়ী ঘোষপাড়ার চন্ডীচরণ ঘোষের বাড়ীতে দুর্গা মন্দিরের বিপ্লব ঘোষ জানান, গতবছর থেকে তারা অত্র মন্দিরে শারদীয় দুর্গেৎসব পালন করছেন। এ বছর পূজা মন্দিরে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে আকর্ষনীয় তোড়ন নির্মানসহ সাজসজ্জার প্রস্তুতি চলছে।
পাংশা শহরের ভাই ভাই সংঘ পূজা মন্দিরের সভাপতি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রোটারীয়ান উত্তম কুমার কুন্ডু জানান, তাদের পূজা মন্দিরে প্রায় অর্ধশত বছর যাবৎ উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের এলাকায় সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির বিরল দৃষ্টান্ত রয়েছে। সে আলোকে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও দুর্গোৎসবকে ঘিরে আলোকসজ্জ্বা, মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বর্ণাঢ্য নানা কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।