Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় রাজবাড়ী জেলা বিএনপি অফিস চত্বরে একই সময়ে ডাকা দু’গ্রুপের সমাবেশ বন্ধ

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ী জেলা বিএনপি কার্যালয়ে গতকাল ৯ই সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় একই সময়ে ডাকা বিএনপির দুই গ্রুপের সভা প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় পন্ড হয়েছে। ফলে নির্ধারিত স্থানে সভা করতে পারেনি কোন গ্রুপই। তবে এ নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি।
জানাগেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে কর্মী সভা ও আলোচনা সভা করার জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম পূর্ব থেকেই ৯ই সেপ্টেম্বর দিন তারিখ ঠিক করে নেতাকর্মীদের জানিয়ে দেন।
পরবর্তীতে একই সময়ে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডঃ এম.এ খালেক ও সেক্রেটারী হারুনের নেতৃত্বাধীন আরেক গ্রুপ দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সভার জন্য শহরে মাইকিং ও গত ৭ই সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করেন।
এরপর জেলা বিএনপির সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম গত ৮ই সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে পৃথক ভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উভয় গ্রুপের আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখার মতামতের জন্য প্রেরন করেন।
পুলিশ সুপার, জেলা বিশেষ শাখা এ প্রেক্ষিতে একই তারিখ ও সময়ে জেলা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে উভয় পক্ষ কর্মী সভা ও আলোচনা সভা আহবান করায় দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সার্বিক বিষয়ের প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী গতকাল ৯ই সেপ্টেম্বর সকালে পত্র মারফত জেলা বিএনপি’র দুই গ্রুপের নেতৃবৃন্দকে দলীয় কার্যালয় চত্বরে কর্মী সভা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি খৈয়ম গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ১লা সেপ্টেম্বর ছিল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ওই দিন জেলা বিএনপি’র সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের নেতৃত্বাধীন নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তবে ঈদ উল আযহা’র কারণে তারা ওই দিন সমাবেশ করেননি। যে কারণে তারা বিএনপি প্রতিষ্ঠা বাষির্কীসহ বেগম খালেদা জিয়া ও তাকের রহমানের কারামুক্তি দিবস পালন উপলক্ষে ৯ই সেপ্টেম্বর দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তারা সভা সমাবেশ করতে পারেননি। তবে এ জন্য তারা বিএনপির খালেক-হারুন গ্রুপ এবং পুলিশকে দায়ী করেছেন।
অপরদিকে জেলা বিএনপির খালেক-হারুন গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা আগেই দলীয় কার্যালয়ে কর্মি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক মাইকিংও করা হয়। এছাড়াও গত ৭ই সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু খৈয়ম গ্রুপ হঠাৎ করে একই সময়ে সভা করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলে প্রশাসন দুই গ্রুপকেই সভা সমাবেশ না করার জন্য নির্দেশ দেন।
এদিকে গতকাল ৯ই সেপ্টেম্বর দলীয় কার্যালয়ে কোন সভা সমাবেশ না হলেও সকালে খৈয়ম গ্রুপের নেতাকর্মিদের পার্টি অফিসে সমবেত হতে দেখা যায়। তারা দীর্ঘক্ষণ পাটি অফিসে অবস্থান করে এক পর্যায়ে সবাই পার্টি অফিস ত্যাগ করেন।
বিকেলে শহরের স্টেশন এলাকায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এডঃ এম. এ খালেকের চেম্বারের সামনেও তাদের সমর্থিত নেতাকর্মিরা সমবেত হয়। তবে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় থাকায় নেতাকর্মিদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।