॥কাজী আব্দুল কুদ্দুস বাবু॥ রাজবাড়ী জেলা পুলিশের আয়োজনে গতকাল ২৩শে আগস্ট পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে পরিবহন চালক ও হেলপারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন ও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সালমা বেগম পিপিএম-সেবা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলামের পরিচালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মোঃ আছাদুজ্জামান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল বাশার মিয়া, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মীর্জা আবুল কালাম আজাদ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি.আই) মৃদুল রঞ্জন দাস, পুলিশ লাইন্সের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর মোঃ শাহ আলম, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম হিরু, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকিবুল ইসলাম পিন্টু, জেলা মাইক্রোবাস-কার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, জেলা ডিজেল চালিত অটোরিক্সা ও অটোটেম্পু(মাহেন্দ্র) মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় ৭০ জন পরিবহন চালক ও হেলপার অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার সালমা বেগম পিপিএম-সেবা বলেন, একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। আমরা আর কারো কান্না দেখতে চাই না। এ জন্য রাজবাড়ীতে প্রশিক্ষিত পরিবহন চালক, হেলপার ও ট্রাফিক গড়ে তুলতে চাই। দক্ষ চালক-হেলপার গাড়ী চালালে দুর্ঘটনা কম হয়। দুর্ঘটনার অন্যতম কারণগুলো সম্পর্কে গণসচেতনতা গড়ে তুলতে পারলেই দুর্ঘটনা ৯০ শতাংশ কমানো সম্ভব। গাড়ী চালানো একটি গর্বের বিষয়। সবাই গাড়ী চালাতে পারে না। জান-মালের দিকে লক্ষ্য রেখে গাড়ী চালাতে হবে।
তিনি চালকদের দিক-নির্দেশনা দিয়ে আরো বলেন, ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়ার আগে তার সকল যন্ত্রাংশ ঠিক আছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হবে। গাড়ীতে ডিজেল, মবিল, পানি ঠিকমতো আছে কিনা দেখে নিতে হবে। গাড়ী চালানোর সময় চালকদের অবশ্যই সিটবেল্ট ব্যবহার করতে হবে। মোবাইল ফোনে কথা বলা পরিহার করতে হবে। অমনোযোগী হয়ে গাড়ী চালানো যাবে না। কোন অবস্থাতেই যেন মনোযোগ নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। গাড়ী চালানোর সময় শতভাগ ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ী চালাতে হবে।