Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

গোয়ালন্দে পদ্মার পানি সামান্য কমলেও দৌলতদিয়ার সাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ

॥মঈনুল মৃধা॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পদ্মার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৮সেন্টিমিটার কমে গতকাল ২০শে আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত বিপদ সীমার ৯৮সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়া গোয়ালন্দ বাজার-দৌলতদিয়া ঘাট স্টেশনের রেল যোগাযোগ এবং দেবগ্রাম ইউনিয়নের মধ্যে ছোট ভাকলা ইউনিয়নের সড়ক যোগযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে।
গতকাল রবিবার গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু সাঈদ মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, বন্যার পানি গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীতে ৮ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এখনো আগের মতো ৫৯৯ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যার্ত এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া ত্রাণের চাউল ও নগদ টাকা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বন্যার পানিতে গত বৃহস্পতিবার রেললাইন তলিয়ে যাওয়ার পর গোয়ালন্দ বাজার-দৌলতদিয়া ঘাটের ট্রেন যোগাযোগ এখনো বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন দৌলতদিয়া ঘাট থেকে তিনটি ট্রেন কুষ্টিয়ার পোড়াদহ, রাজশাহী ও খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত। ট্রেনগুলি গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত এসে থেমে যাচ্ছে।
এছাড়া গত বুধবার পানির চাপে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালী ভায়া তেনাপচা আশ্রয়নকেন্দ্র পাকা সড়কের তেনাপচার ২০ মিটার অংশ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করলে দেবগ্রামের সাথে ছোটভাকলা ইউনিয়নের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গোয়ালন্দ বাজার রেলওয়ে স্টেশনের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন মাষ্টার লিয়াকত আলী জানান, প্রতিদিন সকাল সোয়া সাতটার দিকে কুষ্টিয়ার পোড়াদাহর উদ্দেশ্যে ‘শাটল’ ট্রেন, দুপুর সোয়া একটার দিকে খুলনার উদ্দেশ্য ‘নকশি কাঁথা এক্সপ্রেস’ ও বেলা পৌনে তিনটার দিকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ট্রেন ছেড়ে যায়।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিকভাবে সংস্কার করে চালু করতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। আর যদি উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে মেরামত করতে বলে তাহলে কমপক্ষে এক মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। আপাতত ট্রেন গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত এসে থেমে থাকবে।