॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে গত ২৪ ঘন্টায় আর পানি বাড়েনি। বর্তমানে স্থিতি অবস্থায় রয়েছে। আগের দিনের মতো গতকাল শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারীভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিকেলে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউনিয়নের বন্যার্ত প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঝে প্রত্যেকেকে ১০ কেজি করে তিন মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করা হয়।
এ সময় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলী, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম, ইউএনও মোঃ হাসান হাবিব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস পারভীন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য নুরুজ্জামান মিয়া, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মন্ডল, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এবিএম বাতেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেবগ্রাম ইউনিয়নের বটতলা এলাকায়ও সরকারীভাবে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতর আলী সরদার জানান, অন্তারমোড় রাস্তার উপর অন্তত দেড় শতাধিক বানভাসী মানুষ গবাদিপশু নিয়ে ঠাই নিলেও তাদের মাঝে এখনো কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। দুই-এক দিনের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। বর্তমানে সেখানকার মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ও বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।
ইউএনও মোঃ হাসান হাবিব সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার সর্বত্র বানভাসী বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে। অন্তারমোড় রাস্তায় আশ্রয় নেওয়া মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং নগদ টাকাও বিতরণ করা হচ্ছে।