Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

পাংশার হাবাসপুর-বাহাদুরপুর দুই ইউপির ১৩ গ্রামের দেড় হাজার পরিবার পানিবন্দি

॥মোক্তার হোসেন॥ রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলায় পদ্মা নদীর হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর ইউপির বেড়িবাঁধের বাইরে গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এতে হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর দুই ইউনিয়নের বেড়ি বাঁধের বাইরে ১৩টি গ্রামের দেড় সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এরই মধ্যে গত ১৫ই আগস্ট বিকেলে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বন্যায় পানিবন্দি মানুষের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নির্ণয়ে নৌকাযোগে সরেজমিন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে পাংশার এসিল্যান্ড শেখ রাশেদউজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও হাবাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল আলীম মন্ডল ইউএনও মোঃ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ছিলেন।
তিনি হাবাসপুর ইউপির হাবাসপুর, শাহমীরপুর, চর ঝিকড়ী, চরআফড়া, পূর্ব চরআফড়া, চররামনগর, নারানদিয়াপাড়াসহ আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করেন। বন্যায় চররামনগর ও পূর্ব চরআফড়া গ্রামের রাস্তাসহ অত্র এলাকায় চলাচলের রাস্তা তলিয়ে গেছে। নৌকা ও কলাগাছের ভেওয়া বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের একমাত্র বাহন হয়েছে।।
জানাগেছে, বন্যায় শাহমীরপুর গ্রামের ৬০টি পরিবার, চর ঝিকড়ী গ্রামের ১শ পরিবার, চর আফড়া গ্রামের ৪শ পরিবার, পূর্ব চরআফড়া গ্রামের দেড়শ পরিবার, চর রামনগর গ্রামের দেড়শ পরিবার, নারানদিয়াপাড়া গ্রামের ১শ ৪০ পরিবার মোট ১হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীনযাপন করছেন।
এছাড়া বাহাদুরপুর ইউপির বাহাদুরপুর, সেনগ্রাম, গোপীনগর, বলরামপুর, তারাপুর, জয়কৃষ্ণপুর ও বকশীপুর গ্রামের প্রায় ৫শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাহাদুরপুর একতা কৃষি খামার, বাহাদুরপুর এগ্রো ফার্ম, ১টি মহিষ খামার ও ১টি হাঁসের খামার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে, হাবাসপুর ইউপির বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এখন থৈথৈ পানি। গবাদী পশু ও যান-মালের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ।
পাংশা উপজেলা কৃষি অফিসার জেসমিন আকতার জানান, বেড়ীবাঁধের বাইরে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও অতিবৃষ্টির কারণে প্রায় ৮৯ হেক্টর জমির বোনা আমন, রোপা আমন ও শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তÍ পরিবারে সংখ্যা প্রায় দেড়সহ¯্রাধিক।
পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাখাওয়াত হোসেন জানান, বন্যাকবলিত এলাকা সরজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। হাবাসপুর ইউপির বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ১০ মেট্রিক টন জিআর চাল বরাদ্দ হয়েছে। খুব শিঘ্রই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ করা হবে।