॥গোয়ালন্দ প্রতিনিধি॥ রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
পানির চাপে কাটাখালী-তেনাপচা সড়কের ২০ মিটার এলাকা ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করে ১৩টি গ্রাম প্ল¬াবিত হয়েছে। বন্যার্ত মানুষ দেবগ্রামের অন্তারমোড় বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতর আলী সরদার জানান, গত বছর বন্যায় কাটাখালী-তেনাপচা সড়কটি একবার ভেঙ্গে যায়। এ বছর মেরামত করা হলেও এবার ঠিক একই স্থানে গত ১৬ই আগস্ট মাগরিবের নামাজের পর ভেঙ্গে যায়। রাতের মধ্যেই সড়কের পূর্ব পাশে থাকা ১৩টি গ্রাম প্ল¬াবিত হয়। এতে প্রায় ৪হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকা প্ল¬াবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮৮টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ২০হাজার ৫৫০টি পরিবারের ৮২ হাজার ২০০মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৫৯৯ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যার্ত মানুষের জন্য নগদ দুই লাখ টাকা, ১২৫ মেট্রিক টন চাউল ও ১৬ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
উপজেলার এলজিইডি কার্যালয় জানায়, বুধবার রাতে দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালী ভায়া তেনাপচা আশ্রয়নকেন্দ্র পাকা সড়কের তেনাপচা এলাকায় ২০ মিটার অংশ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলার প্রায় ২৮টি পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম নুরুল ইসলাম দেবগ্রাম ইউনিয়নের বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে জানান, জরুরীভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা দরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী ও জেলা প্রশাসক মোঃ শওকত আলীর উপস্থিতিতে দেবগ্রামে নগদ প্রায় ১লাখ টাকা ও দুই মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।