॥ইউসুফ মিয়া/দেবাশীষ বিশ্বাস॥ “আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে, আমি ভুল করে ফেলেছি-মিতুল ভাই আমাকে ক্ষমা করে দিন-এমপি মহোদয় আমাকে ক্ষমা করে দিন” একথা গুলো বলছিল গত ৩০শে জুলাই রাতে রাজবাড়ী জেলার পাংশায় ককটেলসহ গ্রেফতারকৃত জাহিদুল হাসান সবুজ মুন্সি(২৯)।
আজ ১৬ই আগস্ট সকাল অনুমান ৯টার দিকে রাজবাড়ী কোর্ট এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যান আমাদের সামনে এসে থামে। তখন প্রিজন ভ্যান থেকে পুলিশ স্কটে নামার সময় আসামীদের মধ্যে থাকা একজন হঠাৎ “সাংবাদিক ভাই” শোনেন বলে ডাক দেয়। এ সময় আমরা এগিয়ে যেতেই পাংশার বিস্ফোরক মামলার আসামী সবুজ মুন্সি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন “আমাকে ব্যবহার করা হয়েছে, আমি ভুল করে ফেলেছি, মিতুল ভাই আমাকে ক্ষমা করে দিন-এমপি জিল্লুল হাকিম মহোদয় আমাকে ক্ষমা করে দিন” আমি ভুল করেছি। একথা বলতে বলতে সে কোর্ট হাজতের দিকে চলে যায়। (সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তার কথোপকথনের ভিডিওটি দেখুন)।
উল্লেখ্য, গত ৩০শে জুলাই রাত ৮টার দিকে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের মোটর সাইকেলের বহরে অনুপ্রবেশকারী দুই যুককের মধ্যে জাহিদুল হাসান ওরফে সবুজ মুন্সিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে রাস্তার উপর থেকে ককটেলসহ আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটক সবুজ মুন্সি পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির বি-মালঞ্চি গ্রামের মুন্সী সোহরাব হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম মারুফ বাদী হয়ে পাংশা থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং-২৭, তাং-৩১/০৭/২০১৭। ধারাঃ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্যাদী আইনের ৫ ধারা। সবুজ মুন্সি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। আজ ১৬ই আগস্ট এ মামলার ধার্য্য তারিখে তাকে আদালতে আনা হয়।