Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

বৃষ্টিতে রাজবাড়ী পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতায় জনজীবন ব্যাহত

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজবাড়ীতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকায় প্লাবিত হয়েছে পৌরসভার কয়েকটি এলাকা।
রাজবাড়ী পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশীরভাগ ওয়ার্ডে নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তাই বৃষ্টি হলেই হাটু পানি হয়ে যায় বেশীরভাগ ওয়ার্ডে। এলাকার খালগুলোতে পলিথিন-আবর্জনা জমার পাশাপাশি ব্যক্তিগত দখলে চলে যাওয়ায় বৃষ্টির পানিতে সহজেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তৈরী হয় নৌকা নিয়ে চলাচল করার মত অবস্থা।
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সজ্জনকান্দা সুজনপাড়ায় পানি নিষ্কাষনের স্থানগুলোর কালভার্ট আটকে দিয়ে মৎস্য চাষ করায় এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টিতে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা না থাকায় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মধ্যে থাকা ৩০০বিঘা ফসলি জমিতে পানি জমে ধানের বীজতলা ডুবে যাওয়াসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাংক পাড়া, সুজন পাড়া, পূর্বপাড়া, সজ্জনকান্দা, বিনোদপুর, শ্রীপুরসহ আশপাশের এলাকাগুলোর খাল-বিলে এবং সড়কগুলো পানি জমে থাকায় জনভোগান্তির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে সাধারণ মানুষ ঘর ছেড়ে কর্মস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারছেন না। এতে করে বিপাকে পড়ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া দিনমজুর পরিবারগুলো। কোন রকমে কর্মস্থলে পৌঁছালেও কর্মহীন থাকতে হচ্ছে তাদের। এ পর্যন্ত দরিদ্র মানুষ কোন ত্রান সহায়তা পায়নি।
অন্যদিকে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরাও স্কুল-কলেজে সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারছেনা। একইভাবে টানা বৃষ্টির কারণে হাট-বাজারগুলোতে আসতে পারছে না ক্রেতা-বিক্রেতারা। অবিরাম বৃষ্টিতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক স্থানই বন্যার রূপ নিয়েছে। কোন কোন এলাকায় পানি নিষ্কাষন ব্যবস্থা না থাকায় ঘরের মধ্যেও পানি প্রবেশ করেছে। রান্না ঘরের চুলায় পানি উঠে রান্নায় ব্যাঘাত ঘটছে। গরীব-অসহায় পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বৃষ্টিতে কৃষির বিপর্যয়ের বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রকিব উদ্দিন জানান, লাগাতার বৃষ্টিতে কৃষির ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বৃষ্টির ক্ষয়-ক্ষতিতে কৃষকদের সরকারী সহায়তার সুযোগ নেই, কেননা এটি প্রকৃতির সৃষ্টি। তবে দুর্যোগে যাতে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।