॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সংসদ সদস্য মোঃ জিল্লুল হাকিমের পুত্র ও তরুণ ব্যবসায়ী আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের মোটর সাইকেলের বহরে হামলার চেষ্টাকারী জাহিদুল হাসান সবুজসহ মূল ষড়যন্ত্রকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে গতকাল ৫ই আগস্ট বেলা ১১টায় রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীবের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাহিদুল আলম রাজু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আল মাসুদ, সাবেক প্রচার সম্পাদক আবুল হাসনাত রানা, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক মঈনুল ইসলাম মঈন, সাবেক ছাত্রনেতা আল মামুন আরজু, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সামসুল সালেহীন অপু, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম মারুফ, বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক রাসেল খান রিজু, কালুখালী উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম সুমন, রাজবাড়ী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল পাঠান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ বলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রাণপ্রিয় নেতা, তারুণ্যের প্রতীক আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের উপর বোমা হামলার চেষ্টাকারী জাহিদুল হাসান সবুজসহ মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে এই সকল পরিকল্পনাকারীরা ভবিষ্যতে দলের আস্থাভাজন কোন নেতার উপর হামলা করতে না পারে। মূলত আওয়ামী লীগের মত জনপ্রিয় সংগঠনের মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি ও জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। আবার এদের মধ্যে অনেকের পরিবার জামাত-শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত থাকার কারণে, তৃণমূল পর্যায়ে নিজেদের অপকর্মের কারণে এলাকায় ঢুকতে না পেরে মিতুল হাকিমের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মূল পরিকল্পনাকারীরা ঢাকায় বসে অত্যন্ত সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই হামলা চালাতে চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিতুল হাকিমের প্রতি অগাধ ভালবাসা ও আস্থার কারণে এই হামলাকে প্রতিরোধ এবং হামলাকারী একজনকে হাতেনাতে বোমাসহ ধরতে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতেও মিতুল হাকিমের মত আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতৃত্বের উপর এই ধরনের হামলার চেষ্টা হলে ছাত্রলীগ ছেড়ে কথা বলবে না, যে কোন মূল্যে তাদেরকে প্রতিহত করবে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব বলেন, উক্ত জাহিদুল হাসান সবুজের বিরুদ্ধে বিগত দিনে বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। সে ২০০৯ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সরদারের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করেছিল। তৌহিদুল ইসলাম বাবু দীর্ঘদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এ্যাপোলো হাসপাতাল ও শমরিতা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ্য আছে। এছাড়াও জাহিদুল হাসান সবুজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগ, সদর উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ এবং পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীগণ এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০শে জুলাই সন্ধ্যায় পাংশার নারায়নপুরে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের মোটর সাইকেলের বহরে হামলার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জাহিদুল ইসলাম সবুজকে ককটেলসহ ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।