॥আসহাবুল ইয়ামিন রয়েন॥ রাজবাড়ী জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা গতকাল ২৬শে জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা ও দায়রা জজের সম্মেলন কক্ষে কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডঃ এম.এ খালেক, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরিদ হাসান ওদুদ, কমিটির সদস্য চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলমগীর কবির, জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ গনেশ নারায়ণ চৌধুরী, সম্পাদক এডঃ এটিএম মোস্তফা মিঠু, পিপি এডঃ উজির আলী শেখ, জিপি এডঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আব্দুল মতিন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব সিনিয়র সহকারী জজ বেগম কায়ছুন্নাহার সুরমা।
এ সময় সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মানোয়ার হোসেন মোল্লা, পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ক্রাইম) মোঃ আছাদুজ্জামান, যুগ্ম-জেলা জজ(ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল) মোঃ মহিবুল হাসান, যুগ্ম-জেলা জজ(২য়) মোঃ আমিনুল হক, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শামসুজ্জামান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাসিমা তালুকদার মুনমুন, জেল সুপার মোঃ আনোয়ারুল করিম, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ মুক্তার আলী মল্লিক, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি এডঃ খান মোঃ জহুরুল হক ও এনজিও ভিপিকেএ’র নির্বাহী পরিচালক হাফিজ আল আসাদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আমিনুল হক বলেন, বর্তমান সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ বিনা খরচে সরকার অসহায় ও দুস্থদের আইনী সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিষয়টি এখনও দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ জানে না। সরকারের এই লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির কার্যক্রম আরো কার্যকর করতে হবে। যাতে তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষ জানতে পারে। এই তৃণমূলে জানানোর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটিগুলোকে কার্যকর করা এবং নিয়মিতভাবে লিগ্যাল এইড কমিটির মিটিং করা। এছাড়াও জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধি, মসজিদের ইমামদের সহযোগিতায় যদি লিগ্যাল এইড কার্যক্রমকে সাধারণ মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রচার করা যায় তবেই এটি কার্যকর ও গতিশীল হবে। এই বিষয়টি বিবেচনা করে আজকের এই সভায় জেলার ৫টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছিল। যাতে উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটিগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। কিন্তু সদর ও পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়া অন্য ৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির এই মিটিংয়ে উপস্থিত হন নাই। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রম সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ তারা সেই দিকটি বিবেচনা করে পরবর্তী সভায় অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করছি। শুধু অংশগ্রহণই নয়, তারা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বর্তমান লিগ্যাল এইড কমিটির সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরবেন। তিনি উপস্থিত উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকলকে লিগ্যাল এইড কমিটির কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানান।
সভায় পূর্বের আবেদনকৃত মামলার অবস্থা এবং বর্তমান মাসে যে আবেদন পত্র জমা পড়েছে সেই সব আবেদনের জন্য আইনজীবী নিয়োগসহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।