॥দেবাশীষ বিশ্বাস॥ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম নওয়াব আলী।
গতকাল ১৭ই জুলাই দুপুরে সস্ত্রীক তিনি শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ী-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ও নৌকা প্রতীক পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এ সময় এস.এম নওয়াব আলীর সঙ্গে তার সহধর্মিনী সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য মিসেস শাহানা বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুমার বাগচী, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হাসান, জেলা পরিষদের সদস্য নাজমুল হাসান মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হোসেন আলী দেওয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউসুফ খান, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নাইমা বেগম, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি উপেন্দ্র নাথ রায়, জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোছাঃ নুরজাহান বেগম, কোহিনুর বেগম, আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাদের মিজি, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান বক্কার, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাসেম মৃধা, আলীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠু শেখ, আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ জয়নাল শেখ, ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য শেখ মোঃ আব্দুল জব্বার, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ লিটন মোল্যা, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ মোস্তফা ব্যাপারী, ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ ইউনুছ আলী, সংরক্ষিত ইউপি সদস্য মোছাঃ মনোয়ারা বেগম, পূর্ণিমা শর্মা, আলীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আাওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান জিরো, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী মিয়া, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি নেকবার সরদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ গণি বিশ্বাস, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোবারক গাজী, আলীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ বজলুর রশিদ মিলন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা অর্পন শেষে এস.এম নওয়াব আলী সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৫৪ সালে আলাদীপুর গ্রামে জন্মের পর ১৯৬৯ সালে ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ে জেনারেল ক্যাপ্টেনের মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি গ্রহন করি। ১৯৭০ সালে মাধ্যমিক ও ১৯৭৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করি। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করার কারণে আমাকে দুইবার কারাবরণ করতে হয়। সংসার জীবনে রাজনীতি ধরে রেখে এক ছেলে ও মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করছি। জীবনের শেষ দিকে এসে সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছি। আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তর্বক অর্পন করে নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করলাম। আশা করি আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারী বোর্ড আমার বিষয়ে বিবেচনা করবেন।