॥আন্তর্জাতিক ডেস্ক॥ ভারতের জনসংখ্যার সর্বোচ্চ দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার সরকারী এক জরিপ প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। খবর এএফপি’র।
জুন ও জুলাইয়ে দেশটির প্রায় ২৯ হাজার মানুষের রক্ত রস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় তাদের মধ্যে ৬৭.৬ শতাংশের এন্টিবডি রয়েছে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ(আইসিএমআর) পরিচালিত জরিপের ফলাফলে গত এপ্রিল ও মে মাসে ব্যাপকহারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রভাব দেখা যায়। ওই সময় প্রতিদিন গড়ে প্রায় চার লাখ মানুষ আক্রান্ত ও চার হাজার মানুষ মারা যেতে দেখা যায়।
জানুয়ারী ও ডিসেম্বর মাসে একই ধরনের জরিপে ২৫ শতাংশেরও কম মানুষের পজিটিভ এন্টিবডি দেখা যায়।
আইসিএমআর প্রধান বলরাম ভার্গাভা মনে করেন, ‘এন্টিবডি জরিপে একটি আশার আলো দেখা যাচ্ছে।’
গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লীতে তিনি বলেন, ‘তবে এক্ষেত্রে আত্মতুষ্টির কিছু নেই। আমাদেরকে অবশ্যই কোভিডের যথাযথ আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।’
ভারতের কোটি কোটি মানুষ এন্টিবডি ছাড়াই মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরো স্পর্শকাতর অবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে উপযুক্ত প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মাত্র প্রায় ৮ শতাংশকে টিকা দেয়া হয়েছে।
সরকারী হিসাব অনুযায়ী, ভারতে এ পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ১৮ হাজার ৪৮০ জন করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে ভারত।
এদিক থেকে বিশ্বে প্রথম স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ৬ লাখ ৯ হাজার এবং দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে ৫ লাখ ৪৪ হাজার মানুষ এ ভাইরাসে মারা গেছে।
তবে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে করোনা ভাইরাসে প্রকৃত মৃত্যু ১০ গুণ বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।