॥স্টাফ রিপোর্টার॥ ‘মুজিববর্ষে শপথ নেবো, জাটকা নয় ইলিশ খাবো’ এই শ্লোগান নিয়ে আজ ৪ঠা এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ।
আগামী ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত দেশের জাটকা সম্পৃক্ত ২০টি জেলায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ পালন করা হবে।
এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
এ সপ্তাহ সামনে রেখে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রবিবার উদ্বোধনী দিনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। একই দিন জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।
কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আগামী সোমবার সীমিত পরিসরে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছের আড়ৎ, বাজারসহ জনাকীর্ণ স্থানে জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব ও এ সংক্রান্ত আইন বিষয়ে প্রচার কার্যক্রম, টেলিভিশনে জাটকা সংরক্ষণের গুরত্ব নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান প্রচার, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের সহায়তায় ঢাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন, জাটকা সংরক্ষণে হাট-বাজার ও আড়তে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা এবং ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত প্রকৃত মৎস্যজীবীদের মধ্যে বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ বিতরণ।
এছাড়াও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জেলেদের মধ্যে নৌকা বাইচ, হা-ডু-ডু ও সাঁতার ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, জাটকা সমৃদ্ধ এলাকায় ভিডিওচিত্র প্রদর্শন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মৎস্যজীবী ও জেলে পল্লীতে সচেতনতামূলক ও উদ্বুদ্ধকরণমূলক পথ নাটক, আঞ্চলিক সংগীত ও লোক সংগীত পরিবেশন এবং জাটকা রক্ষায় জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। তবে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছর সকল কর্মসূচি সীমিত পরিসরে পালন করা হবে।
জাটকা সংরক্ষণে ১লা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের ৬টি জেলার ৫টি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলার ইলিশ অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট নদ-নদীতে ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে।
এ বছর ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট ৬টি জেলার জাটকা আহরণে বিরত থাকা ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন জেলেদের জন্য মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ১৯ হাজার ৫০২ টন ভিজিএফ চাল প্রদান করেছে সরকার।