॥স্টাফ রিপোর্টার॥ চীনের বেসরকারী প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড সম্ভাব্য এন্টি-কোভিড-১৯ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশের সহ-অর্থায়ন চেয়েছে।
একটি অসমর্থিত প্রতিবেদনের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব আবদুল মান্নানের মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড এন্টি-কোভিড-১৯ টিকা ফেজ-৩ (তৃতীয় পর্যায়ের) মানবদেহে পরীক্ষা চালাতে সহ-অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করার পরে সিনোভ্যাককে সিদ্ধান্ত জানাবে, কারণ যখন ‘টেস্ট পরিচালনার জন্য আমাদের গ্রহণযোগ্যতা’ পেয়েছিল তখন চীনা সংস্থাটি এই প্রস্তাব দেয়নি।
সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ভ্যাকসিন ট্রায়ালের সহ-অর্থায়নের বিষয়ে একটি দৃঢ় সিদ্ধান্তে আসতে কিছুটা সময় নিতে পারে। তবে, জনগণের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেন, যখন টেস্ট শুরু করার জন্য বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল তখন সিনোভাকের নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসে।
মহাপরিচালক বলেন, বাংলাদেশ সরকার চীনা সংস্থাটির উদ্ভাবিত করোনভাইরাস ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত টেস্ট পরিচালনার বিষয়ে ইতিবাচক, কারণ এটি করোনভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরির বৈশ্বিক দৌড়ে অগ্রদূত হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের মূল প্রস্তাব ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া ডিজিজ রিসার্স, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এর মাধ্যমে প্রেরণ করে এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত ছাড়পত্র পেয়েছে ২৭শে আগস্ট। তবে, নতুন তথ্য অনুযায়ী এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান তারা সিনোভ্যাকের এই সহ-অর্থায়নের প্রস্তাবটি পেয়েছেন ২২শে সেপ্টেম্বর।
কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, বাংলাদেশ সরকার টিকাটির ক্লিনিকাল টেস্ট করার জন্য এই ক্যান্সেলমেন্টের কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়াদিসহ প্রয়োজনীয় সকল গবেষণা প্রোটোকল পরীক্ষা করার পরে অনুমোদন দিয়েছে।
এই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ বিনামূল্যে এক লাখ টিকা পাবে এবং চীনা কোম্পানির কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা কেনার অগ্রাধিকার পাবে। তবে, এখন বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশ সরকারের উপর নির্ভর করে যে, সরকার ভ্যাকসিন পরীক্ষায় অর্থায়ন করবে কিনা। কারণ, আগে এই বিষয়ে কোনকিছু উল্লেখ ছিল না বলে আইসিডিডিআরবি’র নাম প্রকাশ না করে একজন কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থা, সিনোভাক এবং সরকার বর্তমানে টিকার পরীক্ষার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।