Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

জাপানের কানসাই আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস পালন

॥জাপানের কানসাই থেকে রাসেল নিজাম॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কানসাই জাপান শাখার উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদায় ও গভীর শ্রদ্ধায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারী ও জাপান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে কিয়ুটোর একটি রেস্টুরেন্টে দিবসটির কর্মসূচীর পালন করা হয়।

পবিত্র কোরআন তেলোয়াত ও গীতা পাঠের পর আলোচনার শুরুতে জাতির পিতা, বঙ্গমাতা এবং তাঁদের শহীদ পরিবারবর্গসহ ১৫ই আগস্টের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সাবেক ছাত্রনেতা ইঞ্জিনিয়ার রাসেল নিজামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জাতীয় শোক প্রস্তাব পাঠ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কানসাই জাপান শাখার আহবায়ক আবু সাদাত মো ঃ সায়েম ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে উপদেষ্টা আমিনুর রহমান জাতির জনকের অবিস্মরণীয় অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু তাঁর আদর্শকে মুছে দেওয়া যায়নি। বরং তাঁর স্মৃতি গণমানুষের মনে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হয়েছে। তিনি ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হয়ে চিরভাস্বর হয়ে আছেন।

আহ্বায়ক আবু সাদাত মোঃ সায়েম তার বক্তব্যে দিনটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৫ই আগস্ট বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা এবং কলঙ্কময় দিন।

জাতির পিতা সারাটা জীবন জেল, জুলুম ও অত্যাচার উপেক্ষা করে তাঁর অসাধারণ বীরোচিত নেতৃত্বগুণে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাতি ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।

সদস্য সচিব মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতিধারা রুদ্ধ হয় এবং স্বাধীনতার মূল চেতনার বিচ্যুতি ঘটে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে নতুন প্রজন্মকে দেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ-উল-হাসান, ড. মোঃ আশরাফুজজামান রোমেল ও ড. লুৎফর রহমান মাসুম প্রমুখ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওসাকা, কোবে, নারা, কিয়ুটো ও শিগা প্রিফেকচার থেকে নেতৃবন্দ যারা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন ড. অসীম কুমার সাহা, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, আর এ সরকার রবিন, সুমন দাস, গোলাম ইফতেখার খন্দকার ও মোঃ তানভীর কবির প্রমুখ।

বক্তাগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত যে সকল খুনি এখনও পলাতক রয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান।

আলোচনা সভা শেষে ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট শাহাদাত বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি কামনা ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।