Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

জাপানে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত

॥টোকিও প্রতিনিধি॥ জাপানের রাজধানী টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ ৮ই আগস্ট সকালে বিনম্র শ্রদ্ধায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য এবং দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বানী সকলের উদ্দ্যেশে পাঠ করা হয়।
পরে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সকল অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি সারাজীবন বঙ্গবন্ধুর সাথে ছায়ার মতো অবস্থান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের নিভৃত সহচর হিসাবে বিদ্যমান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান ও সহযোগিতা করেছেন।
চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার আরো বলেন, সংগ্রামী জীবনে বঙ্গবন্ধু জীবনের বিড়াট অংশ জেলে কাটিয়েছেন, আর এ সময় সাহসী বঙ্গমাতা পরিবার দেখাশোনার পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরও আগলে রেখেছিলেন প্রজ্ঞা ও দায়িত্বশীলতার সাথে। আর এজন্যই কোন রাজনৈতিক পদধারী না হয়েও তিনি বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতিক।
ড. শাহিদা আকতার বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী যিনি পরিবারে স্ত্রী-মাতার ভূমিকায় কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ছিলেন।
বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে ড. শাহিদা আকতার বলেন, যাতে তাঁরা বঙ্গমাতার জীবনকর্ম থেকে ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।