Site icon দৈনিক মাতৃকণ্ঠ

একনেকের বৈঠকে ৭টি প্রকল্প অনুমোদন

॥স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা নগরীর সুয়ারেজ সিস্টেমের আধুনিকায়ন ও স্যানিটেশন সিস্টেমের উন্নয়নে ২ হাজার ৩৩৪. ১৪ কোটি টাকাসহ মোট ৩ হাজার ৭৫.৩৩ কোটি টাকা ব্যায়সম্বলিত সাতটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ একনেকের ভার্চুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। একনেকের অন্যান্য সদস্যরা নগরীর শের-এ-বাংলা নগর এলাকার এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে এতে অংশ নেন।

ভার্চুয়াল ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আজকের একনেক বৈঠকে আমরা তিনটি মন্ত্রণালয়ের সাতটি প্রকল্পকে অনুমোদন দিয়েছি। এগুলোর মধ্যে ৫টি প্রকল্প নতুন এবং অপর দুইটি সংশোধিত প্রকল্প। প্রকল্পগুলোর প্রাক্কালিত ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ৩ হাজার ৭৫.৩৩ কোটি টাকা।

তিনি আরো বলেন, সাতটি প্রকল্পের মোট ব্যয়ের ২ হাজার ১৩২.৮৮ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এবং ৯৪২.৪৬ কোটি টাকা বিদেশী ঋণ থেকে আসবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন তিনটি, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন একটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন দুটি এবং আইসিটি বিভাগের অধীন একটিসহ সাতটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়।

২ হাজার ৩৩৪.১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা সুয়ারেজ সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সুয়ারেজ সিস্টেমের আধুনিকায়নের পাশাপাশি স্যানিটেশন সিস্টেমের উন্নয়নের লক্ষে খুলনা ওয়াসা ২০২৫ সাল নাগাদ প্রকল্পটি সম্পন্ন করবে।

প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের ৯২৯.৪২ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এবং ১ হাজার ৪০৪.৭২ কোটি টাকা বিদেশী ঋণ থেকে আসবে।

পরিকল্পনা কমিশনের মতে দুটি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ, ১৭৩ কিলোমিটার স্যুয়ারেজ (পয়ঃনিষ্কাশন নালা) নেটওয়ার্ক, আটটি স্যুয়ারেজ পাম্পিং স্টেশন, ৭৭ কিলোমিটার সার্ভিস লাইন ও একটি ওয়েট ল্যান্ড, ৩০ হাজার বাড়িতে সংযোগ, পয়নিষ্কাশন পরিষ্কার সরঞ্জামাদি সংগ্রহ, গবেষণাগার সরঞ্জামাদি ও ১ লাখ, ১৫ হাজার ৭৪১ কিউবিক মিটার ভূমি উন্নয়ন।

নতুন অনুমোদিত চারটি প্রকল্প হচ্ছে- ৯৩৮.৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (দ্বিতীয় পর্ব) স্থাপন প্রকল্প, ২৩১.৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প, রাজধানী নগরীতে ৯৩.৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি সরবরাহ পদ্ধতি এবং ৬৩.৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে তুলা গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি স্থানান্তর প্রকল্প।

সংশোধিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে হতদরিদ্রদের জন্য উপার্জন সহায়তা কর্মসূচি (৩য় সংশোধন) প্রকল্প ও আমার বাড়ি আমার খামার (৪র্থ সংশোধন) প্রকল্প।

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পসমূহ অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোকে ক্রমান্বয়ে স্বনির্ভর করা নির্দেশ দেন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আপনাদেরকে ধীরে ধীরে কিভাবে স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সে সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।’

আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প সম্পর্কে শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে মান্নান বলেন, মাইক্রোক্রেডিটের কবল থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ যেন আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সে লক্ষেই এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মানুষকে আত্মনির্ভরশীল হতে বলেছেন।

ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের আরো প্রকল্প প্রণয়ন করতে বলেছেন, যাতে করে শিক্ষার্থীদের স্বক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

মন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে প্রকল্প সম্পন্ন করতে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী আবারো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।